একটি কদম ফুলের জন্য গাছ থেকে পড়ে ফরহাদ হোসেন ৯ বছরের শিশু গুরুতর আহত হয়ে দেড় মাস ধরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে দিন পার করছেন।
আর এ শোয়া ডানদিক কিংবা বামদিক কাৎ হয়ে শুয়ে থাকা নয়, শুধুমাত্র চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা। কারন তার কোমর, ডান হাত, এবং বাম পায়ের রানের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এজন্য চিকিৎসক তার চিকিৎসার জন্য পায়ের গোড়ালি থেকে বাম পা এবং কোমড়সহ ডান হাতের কাঁধ পর্যন্ত পেলাস্টার করে রেখেছেন।
সে নিজের ইচ্ছেমত মন চাইলেই ডানদিক কিংবা বামদিক কাৎ হয়ে শুতে পারছেন না।
শিশু ফরহাদ চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের পাঁচ বাড়িয়া গ্রামের ফারুক মোল্লার ছেলে। সে মধুরোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
শিশুর পিতা ফারুক মোল্লা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এক মাস আগে সকালে গ্রামের একটি কদম গাছে উঠেন কদম ফুল পারার জন্য। গাছে উঠার পর ফরহাদ পা ফসকে নিছে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ফরহাদের হাত, পা এবং কোমরের হাড় ভেঙ্গে গেছে।
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক স্বচ্চলতার কারণে তাকে ঢাকায় নেয়ার সামর্থ না থাকায় তারা চিকিৎসককে অনুরোধ করলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালেই তার চিকিৎসাসেবা চলতে থাকে।
তার বাবা আরো জানান, ২২ দিন ধরে সে একই ভাবে শুয়ে আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ তার হাড় জোড়া লাগাতে হলো এভাবে আরো একমাস যাবৎ থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের অর্থ-সার্জারি সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফরিদ আহমেদ চৌধূরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার পায়ের সমস্যার জন্য হয়তো আরো দু’তিন সপ্তাহ এভাবে থাকতে হবে। তবে হাতের সমস্যা বেশি হওয়ায় সেটির জোড়া লাগতে হলে একটি বেশি সময় লাগবে।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সম ১১ : ০৫ পিএম, ১১ জুন ২০১৭, রোববার
এইউ