চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে প্রাণ ফ্রুটিকস্ আর.এফ.এল ১০ ম ইলিশ উৎসবের চতুর্থ দিনে বেশ কিছু পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একই সাথে গুনি ব্যক্তিদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় ইলিশ উৎসব স্থল জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে মেহেদী রঙ্গে গ্রাম্য বধু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রতিযোগিতায় ৮ জন তরুনী ও গৃহবধু গ্রামীণ চেক শাড়ী ও দুহাতে মেহেদী রঙ্গে রাঙ্গিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিরা হলেন-ওমর ইশরাত,মাকসুদা বেগম,নাহার আক্তার,সাদিয়া আক্তার,ফারজানা আক্তার,এডঃ নিলুফা আক্তার,ফাতেমা আক্তার নদী ও দিয়া।
বিজয়ীদের নাম চতরঙ্গের ফেইসবুকের মাধ্যমে জানানো হবে । তাদেরকে আগামী ১ অক্টোবর পুরস্কার প্রদান করা হবে।
এরপর নোয়াখালী ও বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় প্রদর্শনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। অনকার যুগেরতন আগেরকার যুগ ভালা আছিলো।
এ বিষয়ের উপর বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। পক্ষ দলে চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমী নোয়াখালীর ভাষায় ও বিপক্ষ দল চাঁদপুর কন্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন ফরিদগঞ্জ শাখা বরিশালের ভাষায় বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন।
পক্ষদলে বিতার্কিক ছিলেন দলনেতা রাসেল হাসান,তানজিল আহম্মেদ মুন্না ও ফাহিম শাহরিয়ার । বিপক্ষ দলের দলনেতা শামিম আহম্মেদ। বির্তাকিক মুশফিকা ইসলাম ও আব্দুল্যা আল নোমান,সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল রশিদ। মডারেটর ছিলেন আবু ছালেহ ।
সন্ধ্যায় ইলিশ গোলটেবিল আলোচনা সভায় চতুরঙ্গের উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে ও হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন।
তিনি বক্তব্যে বলেন ইলিশ উৎসবে আসলে অবিভুত হয়ে যাই। এখানে আসলে কৌশরের ঘটনা মনে পড়ে যায়। হাজীগঞ্জে যখন বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম ।
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর ইলিশ উৎসবের মাধ্যমে ইলিশকে প্রমোট করা হচ্ছে। এটি এখন জাতীয় উৎসব হয়ে দাড়িয়েছে। একদিন এই ইলিশ উৎসব চাঁদপুরবাসীর সার্বজনিন উৎসব। ইলিশ উৎসবে যে ইলিশ রান্না যে প্রতিযোগিতা হয় এবারেও তা করলে ইলিশ উৎসবের আরও বিস্তার ঘটবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালক অরুনেন্দ কিশোর চক্রবর্তী বলেন অক্টোবর মাসে আমরা মা ইলিশ না ধরার মৌসুম পালন করে থাকি।
বাংলাদেশের ২৯টি জেলায় ১২৭টি উপজেলায় জেলেদের জন্য ৪০ কেজি করে চাল সরকার বরাদ্দ দিয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭ শত ৯টি জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে। সরকার জেলেদেরকে অন্য পেশায় ঘুরে দাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
এ সময় অরুনেন্দু কিশোর চক্রবর্তী,উপার বাংলার কন্ঠশিল্পি ডঃ উত্তম সাহা সাগর,বাফার সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু,কন্ঠ শিল্পি মমতাজ রহমান লাভনী, চাঁদপুর জেলার সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এর পূর্বেই বাংলাদেশ হাওয়াইন গিটার শিল্পি পরিষদ ঢাকার পরিবেশনায় গীটার সন্ধ্যা অনুুষ্ঠিত হয়।
বাফার সভাপতি ও বাংলাদেশ হাওয়াইন গীটারের প্রাণ পুরুষ হাসানুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে ১০ সদস্যদের গীটার শিল্পিরা গীটারের সুরের মর্চুনায় দর্শকদের মহিত করেন। রাতে নৃত্য পরিবেশন করেন ঢাকার নৃত্যাঞ্জলি পারফমিং আটর্স একাডেমী শিল্পিরা ।
মাহফুজ কাদরীর তত্বাবধায়নে নৃত্য পরিবেশন করে পঙ্কজ দাস,ঝরা,তৃষা,প্রেরনা,আয়ন,মেঘলা,অগমি ও ঋতু। এর ফাকে সঙ্গিত পরিবেশন করেন ওপার বাংলার কন্ঠশিল্পী ডঃ উত্তম সাহা সাগর, মমতাজ লাভনী,রূপালী চম্পক,এনএসআই ডিডি এবিএম ফারুখ।
সবশেষে শিপ্রা মজুমদার ও রাখি মজুমদারের পরিচালনায় অগ্নিবীনা সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পিরা নৃত্য পরিবেশন করেন।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট