Home / উপজেলা সংবাদ / শাহরাস্তির ৬ ইউনিয়নে ৩০৯ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ
শাহরাস্তির ৬ ইউনিয়নে ৩০৯ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ

শাহরাস্তির ৬ ইউনিয়নে ৩০৯ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২ শত ৩৪ জন প্রার্থী। এদের মাঝে আজ (মঙ্গলবার) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

মামলা-হামলাকারী থেকে রক্ষা পেতে শাহরাস্তিতে মানববন্ধন

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নিজমেহার, দেবকরা ও ষোলপুকুরিয়া এলাকাবাসী মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় তালতলা বাজারে স্থানীয় প্রভাবশালী আবুল বাশার পাটওয়ারী কর্তৃক মামলা-হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানবন্ধন করে।

এ সময় এলাকাবাসী দাবি করেন মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র মোঃ আবুল বাশার পাটওয়ারী বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে এলাকাবাসীকে হয়রানী করে আসছে। সে নানা অজুহাতে সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানী করে। তার হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে এলাকার নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়েছে।

তারা চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং ওপেন হাউজডের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য শোনার আহবান জানান।

স্থানীয় আবুল হাশেমের পুত্র বিল্লাল হোসেন জানান, তালতলা বাজারে পরোটা খাওয়াকে কেন্দ্রে করে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।

পৌরসভার ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহিন আক্তার মানবন্ধনে অংশ নিয়ে জানান, তার বিরুদ্ধে কিছুদিন পূর্বে ২টি মামলা দেওয়া হয়। মামলা দুটির সাক্ষী হলেন আবুল বাশার। তিনি দাবি করে বলেন বাশারের ইন্ধনেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আবুল বাশারের ছোট ভাই আবদুল গফুর বলেন গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এলাকার লোকজনের সহায়তা করার অভিযোগে আমার ঘর ভাংচুর করা হয়।

রুহুল আমিন অভিযোগ করে বলেন আমি একজন কৃষক, আমার কাছ থেকে আবুল বাশার স্কীমের ১৭৫ টাকা পাবেন। সে কারণে তিনি সকলের সামনে আমাকে মারধর করেন।

ডা. মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, ডাব চুরির অভিযোগ এনে খোকন ও তার ভাই মোশারফকে বেধে মারধর করেন। এভাবে প্রায় ৩০/৩৫টি পরিবার আবুল বাশার কর্তৃক নির্যাতনের শিকার।

অজুফা বেগম জানান, তার ছেলে আরিফ হোসেন এলাকার মারামারি থামাতে গেলে তাকে কিছুলোক মারধর করে। পরে তিনি বিষয়টি থানায় অবহিত করতে গেলে আবুল বাশারের সহযোগী আমির হোসেন তাদের থানায় ঢুকতে বাধা প্রদান করেন।

মানবন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন ইয়াছিন লদ, সোহাগ, কিরন, বিল্লাল হোসেন, নুর হোসেন, সেফায়েত, শামিম, সুজন, ইউসুফ, বাবুল পাটওয়ারী, শামছুল হক, খোকন কবিরাজ, ইব্রাহিম লদ, দেলু তালুকদার, মাসুদ, রাজু, সরোয়ার, ফাতেমা বেগম, মনোয়ারা বেগম, রাজিয়া বেগম, জোহরা খাতুন, শামছুন নাহার, খোদেজা বেগম, হামিদ লদ, হাসিম তালুকদার, কালাম ভূইয়া, দেলোয়ার শিকদার, সেলিম ভূইয়া, আব্দুল মালেক, মোঃ আলী কবিরাজ, জাকির লদ, আলমগীর হোসেন, রবিউল আলম, বাচ্চু লদ, হেঞ্জা লদ, বিল্লাল লদ, মিহির ধর, রশিদ ভূইয়া, লাল মিয়া, নুর আলম ও জাকির লদ প্রমুখ।

]মো. মাহবুব আলম, শাহরাস্তি করেসপন্ডেন্ট [/author] : আপডেট ২:০০ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ