লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সুখ-দুঃখে গড়া আমাদের জীবন, তাই কেউই পুরোপুরি সুখী বলে দাবি করতে পারিনা। জীবনের পুরোটা একদম অশান্তির, তাও কিন্তু নয়। দুঃখবিলাসী মন মাঝে মাঝে ইচ্ছে করেই কষ্টকে ডেকে আনে নিজের অজান্তে। নিজের কষ্টের কারণ স্বয়ং নিজে, এই বোধটা আমাদের মাঝে অনেক সময়ই কাজ করে না। দোষ দেই ভাগ্যের বা অন্য কারো। তখন বোকা চোখে চেয়ে থাকি উড়ে যাওয়া মনের শান্তি গুলোর দিকে। অথচ কিছু খারাপ অভ্যাস বাদ দিলে অনেকটা সুখী থাকা সম্ভব। যেমন-
কষ্টের অতীতকে জীবিত রাখা নয়
অনেক মানুষই আছেন যারা তাদের কষ্টের অতীতকে একদমই ভুলতে পারেন না। বার বার সেটা মনে করে বিলাপ করেন। নিজের বর্তমানকে ভাসিয়ে দেন কষ্টের সাগরে। আপনি যদি প্রতিবারই কষ্টের অতীতকে টেনে এনে বর্তমানকে বিষিয়ে তোলেন, তাহলে মন কখনো শান্তি খুঁজে পাবেন না। তাই কষ্টের অতীতটাকে জীবিত রাখা নয়, তাকে অতীতেই থাকতে দিন। কষ্ট থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে সাবধান থাকুন।
খারাপ চিন্তা নয়
আপনি যদি ইতিবাচক চিন্তা না করতে পারেন তাহলে কোথাও আস্থা পাবেন না। আপনার এই বাজে অভ্যাস প্রত্যেকটি ব্যাপারেই খারাপ ধারণা দেবে। কোনো কাজে এগিয়ে যেতে সাহস পাবেন না। পিছিয়ে থাকতে হবে নিজেকে। আর এই পরিস্থিতি আপনাকে অসুখী করে তোলার জন্য কারণ হিসেবে যথেষ্ট।
অন্যের সঙ্গে তুলনা নয়
নিজের অবস্থানের সঙ্গে অন্যের উন্নত অবস্থানের তুলনা কখনো সুখ এনে দেয় না। এতে সব সময় নিজের অভাবটাই নজরে পড়তে থাকে। মনের শান্তি নষ্ট হয়, যা আপনার সুখটাকেও কেড়ে নিয়ে যায়। তাই অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করে আক্ষেপ নয়, অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করায় সুখের।
অন্যের জন্য উদ্বিগ্ন নয়
- কাছের কোনো মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনতে না পেরে নিজেই অস্থিরতায় ভোগার কোনো মানে হয় না। আপনি তার উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা চালাতে পারেন তবে আক্ষেপের কোনো মানে নেই। অনেক বিষয় আছে যা সময়ে ঠিক হয়ে যায়। তাই এভাবে নিজের অশান্তি বাড়ানোর চেয়ে নিজেকে শান্ত রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।