দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রিক দেবীর আদলে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানো হয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে এ ভাস্কর্য সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বসানো হয়।
হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের অব্যাহত দাবির মুখে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয় ভাস্কর্য সরানোর কাজ। রাত ৪টার দিকে ভাস্কর্যটি সরানোর কাজ শেষ হয়।
ভাস্কর্যটির নির্মাতা ভাস্কর মৃণাল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এটি যত্ন করে সরানোর কাজ তত্ত্বাবধান করেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট চত্বর ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাস্কর মৃণাল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভাস্কর্যটি সরানোর জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে বলা হয়েছে। রাত সাড়ে ১১টায় তা সরানোর কাজ শুরু হয়।’
তিনি জানান, ভাস্কর্যটি সরাতে গিয়ে যেন নষ্ট না হয়, তিনি তা দেখছেন। এটি সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের পাশে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকেছিলেন এবং ভাস্কর্য বিষয়ে মতামত নিয়েছিলেন। এ সময় সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য ভাস্কর্যটি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। আমরা বলেছি ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্ট অ্যানেক্স ভবনসংলগ্ন জাদুঘরের সামনে স্থাপন করা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশে ভাস্কর্যটি সরানো হয়েছে।’
এদিকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র জোটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে অগ্রসর হন।
মিছিলটি ওই এলাকার কাছাকাছি যাওয়ার পর পরই পুলিশ মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
তখন মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩ : ৩০ পিএম, ২৬ মে ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ