Home / সারাদেশ / ৬ বিএনপি নেতার বাড়িতে একযোগে ককটেল হামলা
৬ বিএনপি নেতার বাড়িতে একযোগে ককটেল হামলা

৬ বিএনপি নেতার বাড়িতে একযোগে ককটেল হামলা

corespondent:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ যশোর জেলা বিএনপির শীর্ষ ছয় নেতার বাড়িতে অন্তত ৩০টি বোমা হামলা হয়েছে।   বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ হামলায় বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম, সাবেরুল হকের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। অন্যদের বাড়ির কোনো ক্ষতি হয়নি।   তবে যশোরের পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান এ ধরনের কোনো তথ্য জানেন না বলে জানিয়েছেন।   বিএনপির নেতা, এলাকাবাসী ও নাইটগার্ড সূত্র মতে, রাত একটার দিকে প্রায় একযোগে বিএনপির নেতাদের বাড়িতে এসব হামলার ঘটনা ঘটে। প্রথমে শহরের চৌরাস্থা এলাকায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত শহিদুল ইসলাম নয়ন চৌধুরীর ছেলে রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে বোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা।

তারা ৮/১০টি মোটরসাইকেলে এসে ১০টি বোমা হামলা করে চলে যায়।   এরকিছুক্ষণ পরে শহরের ঘোপ এলাকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের বাসভবনে বোমা হামলা করা হয়।   তরিকুল ইসলামের স্ত্রী জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপিকা নারগিস বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘রাতে বাড়িতে তিনি একা ছিলেন। রাত আনুমানিক একটার দিকে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় পরপর অন্তত পাঁচটি বোমা ছুড়ে মারা হয়।’   তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দুইতলার ডাইনিং রুম গ্লাস দেয়া। বোমার আঘাতে এগুলো ভেঙে গেছে। ঘরের মধ্যে বোমার জালেরকাটি পড়ে রয়েছে। এরপর বোমা হামলা হয়েছে উপশহর এলাকার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর বাড়িতে। দুর্বৃত্তরা বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।’   স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজুল কবীর টিটো মুঠোফোনে বলেন, ‘১০টি মোটরসাইকেলে রাত একটার পরপরই ২৫/২৬ জন এসে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর বাসভবনে বোমা হামলা করে। এতে জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। দেয়ালের চারটি স্থানে বোমার আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে।

এ ছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের বাসভবন, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের বাসভবন ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহম্মদ সিদ্দিকীর বাসভবনেও বোমা হামলা করা হয়েছে বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।   তবে যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) আনিছুর রহমান আনিছুর রহমান এ ধরনের কোনো তথ্য তার জানা নেই বলে জানিয়েছেন।   কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণমাধ্যমে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, ‘আমি সেটা জানি না।’   আর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস আলীর সরকারি দাপ্তরিক মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে এ ফোন রিসিভ করেন ওসি তদন্ত গণি মিয়া। তিনিও কিছুই জানেন না উল্লেখ করে বলেন, ‘ওসি স্যারের ফোন তো আমার কাছে রয়েছে। এ ধরনের কোনো ম্যাসেজ তো আসেনি।’   এদিকে, দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের মালিকানাধীন দৈনিক লোকসমাজের সাংবাদিকরা। পত্রিকারটির প্রকাশক তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সম্পাদক নারগিস বেগমসহ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দাবি করা হয়েছে।