পদ্মা অয়েল কোম্পানি চাঁদপুর ডিপোর তেলের ভাউচারগুলো রেললাইনের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। শহরের বড়স্টেশন রোডের আক্কাছ আলী স্কুলের পূর্বপাশে অবস্থিত পদ্মা অয়েল কোম্পানী চাঁদপুর ডিপো। সেখান থেকে প্রতিদিন তেলের ভাউচারগুলো ছেড়ে গিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিয়ে থাকে।
প্রতিদিন রেললাইনে ওপর দিয়ে তেল ভর্তি গাড়িগুলো অনায়াসে চলে যাচ্ছে। এতে করে ট্রেন এবং তেলের ভাউচারের মধ্যে যে কোনো সময় বড় ধরনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশংঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
রেললাইনের দু’পাশে কোনো রেল গেইট ব্যবহার না করার কারণে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে মেঘনা, সাগরিকা ও ডেমু ট্রেনের নির্ধারিত যাওয়া-আসার সময় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মালবাহী ট্রেন ছেড়ে আসে।
বলা চলে, এসব মালবাহী ট্রেন যখন আসে তার কোন নির্ধারিত সময় থাকে না।
অপরদিকে এসব মালবাহী ট্রেন চলাচল করলে যাত্রীবাহী ট্রেনের হুইসাল বাজিয়ে আসে না।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা অয়েল কোম্পানি চাঁদপুর ডিপোর তেলের ভাউচারগুলো প্রতিদিন এভাবেই চলাচল করে। রেলওয়ে থেকে এখানে লাইনম্যান দেয়া হলেও তার দেখা পাওয়া যায় না।
এছাড়া দু’পাশের রেলগেইট অকেজো হয়ে পড়েছে। তাদের চোখে বহুবার ধরা পড়েছে রেললাইনের পাশে তেলের গাড়ি আর অন্যপাশ দিয়ে মালবাহী ট্রেন যাচ্ছে। চালক একটু অসচেতন হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সব সময় একজন লাইনম্যান দাঁড়ানো আবশ্যক এবং রেললাইনের দু’পাশের রেলগেইট দ্রুত ঠিক করে তা’ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা মুক্ত হবে এ রেলপথ।
এ বিষয়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানী চাঁদপুর ডিপোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মালেক চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমি এ প্রতিষ্ঠানে আড়াই বছর ধরে রয়েছি। আমার চোখে এ পর্যন্ত কোনো ঝুঁকি চোখে পড়েনি। এখানে রেলওয়ে থেকে নির্ধারিত লাইনম্যান রাখা হয়েছে। সে প্রতিদিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। প্রতিটি গাড়িতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার তেল সরবরাহ করা হয়। আর তা’সংরক্ষণ করা আমাদেরই দায়িত্ব।
তিনি আরো জানান, ‘আমাদের এ বিষয়ে নজর রয়েছে। মেঘনা, সাগরিকা ও ড্রেমো ট্রেন ছাড়া অন্য কোনো মালবাহী ট্রেন যায় কিনা তা’আমার জানা নেই। আমাদের চেয়ে চালকরা এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি।’
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯ : ০০ পিএম, ২২ মে ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ