তবে তাদের মাঝে এমন কিছু বন্ধুত্বও রয়েছে, যা দেখে রীতিমতো অবাক না হয়ে পারা যাবে না! সচরাচর যাদের আমরা হিংস্ররূপে জেনে থাকি, অনেকসময় তাদের মাঝেও দেখা যায় গভীর মমত্ববোধ।
তাহলে দেখে নিই, প্রাণিদের এ মিষ্টি বন্ধুত্ব। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ১০টি বন্ধুত্বের গল্প।
মাকে খুঁজে না পেয়ে বোধহয় সোনালি কুকুরটির কোলেই ঘুমিয়ে পড়লো ছোট্ট বিড়ালছানা। আর কুকুরটিও কী দারুণ আগলে রেখেছে তাকে।
ঘুমে বিভোর দুই বন্ধু কুকুর আর পাঁতিহাস। সত্যিই, বন্ধুত্বে যে বর্ণ, গোত্র বা আকার কোনো কিছুই বিভেদ তৈরি করে না, এটাই তার প্রমাণ।
ছবিটি দেখে অভিভূত হতেই হবে! ম্যাবল নামের মা মুরগিটি কী দারুণ ওম দিচ্ছে কুকুর ছানাগুলোকে। অন্য জাতের প্রাণী হওয়ার পরও আদরে কমতি নেই মা মুরগির।
বন্ধুদের মন খারাপ হলে আমরা সাধারণত কী করি, তাদের সঙ্গে গল্প করা বা বাইরে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া এইতো! ছবিতে ওরাংওটাং সুরাইয়া বন্ধু কুকুরটির মন ভালো করতে বসেছে বাড়ির দাওয়ায়। পরম মমতায় আগলেও রেখেছে তাকে।
কুকুর ও হরিণ শাবকের মিষ্টি কথপোকথন। হলদে রোদে ভালোবাসার আদরমাখা মুহূর্ত।
ছবি তোলার জন্যই বুঝি বন্ধু বনবিড়ালকে জড়িয়ে রয়েছে শিম্পাঞ্জিছানা।
শিশু ক্যাঙ্গারু আর ওয়্যামব্যাট। অতি আগ্রহের সঙ্গে ওয়্যামব্যাট আদর নিচ্ছে ছোট্ট ক্যাঙ্গারুছানার।
একটুও যেন ভয় নেই আমেরিকার ছোট প্রজাতির এ বানরটির। কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সবুজ আইগুয়ানার সঙ্গে। আইগুয়ানাও বুঝি চোখ বুজে তার আয়েশি ভোজের খবর বলছে তাকে। জেনে রাখা ভালো, এ প্রজাতির বানরের নাম মারমোসেট।
বন্ধুত্বের মাঝে তো মিল থাকা চাই-ই চাই! মিল না থাকলে কি আর বন্ধুত্ব হয়! আর তাই হয়তো লম্বা গলার মিল থাকায় বন্ধুত্ব হলো উটপাখি আর জিরাফের।
সাদা বরফের দেশে বন্ধু না পেয়েই বুঝি নিজেদের আপন করে নিল শ্বেত ভাল্লুক আর শ্বেত শেয়াল। শীতল হাহাকারের রাজ্যে বন্ধু হয়ে থাকাই তো বুদ্ধিমানের কাজ।