ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে ৪ জন আহত হয়ে মতলব উপজেলায় স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
শুক্রবার ১৯ মে সকালে মতলব দক্ষিন উপজেলার পিংড়া গ্রামের বকাউল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই বাড়ির হারুন বকাউলের ছেলে শাহাদাত বকাউল (২৬), মিরাজ বকাউল (২২), ওহাব বকাউলের ছেলে সোহাগ বকাউল (৩৬) ও তার ভাবি জুবলি বেগম (৩৫)।
এদের মধ্যে শাহাদাত ও মিরাজ বর্তমানে চাঁতপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর সোহাগ বকাউল ও তার ভাবি জুবলি বেগম মতলব উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
আহত শাহাদাত বকাউলের পরিবারের লোকজন জানায়, শুক্রবার সকালে হারুন বকাউলের স্ত্রী তবুরী বেগম বাড়ির পার্শ্ববর্তী ওহাব বকাউলের জমিতে ধান শুকাতে গেলে সোহাগ বকাউলের ভাবি জুবলী বেগম তাতে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে তাদের উভয় পক্ষের মাঝে তুমুল ঝগড়া হয়। তার এক পর্যায় সোহাগ বকাউল , তার ভাই আল আমিন বকাউল, নুরু ইসলাম বকাউলের ছেলে সোহেল বকাউল ও হারুন বকাউলের ছেলে রিয়াদ বকাউল এসে শুকাতে দেয়া ধান নিয়ে যাবে এবং ফেলে দিবে বলে শাসায়। এর একপর্যায় তারা শাহাদাত ও মিরাজকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে আহত করে।
এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে সোহাগ বকাউলের সাথে কথা হলে, তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে তাদেরকে মারধর করিনি। ঘটনার কয়েকদিন আগে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তাদের জমিতে ধান শুকাতে গেলে তারা তাকে সেখানে ধান শুকাতে বাধা দেয়, এমনকি একা বাড়িতে গিয়ে শাহাদাত ও তার ভাই আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে অনেক মারধর করে। এজন্য সেদিন তারা আমাদের জমিতে ধান শুকাতে দিলে আমার ভাবি তাদেরকে বারণ করেন। এজন্য তারা আমাদের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়। আজ সকালেও (শনিবার) আমি দোকানে যাওয়ার পথে তাদের স্বজনরা আমাকে অনেক মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার ইসমাইল হোসেন বাচ্চু চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমার সামনেই সেদিন এ ঘটনা ঘটেছে। আমি চেষ্টা করেছি তাদেরকে মানিয়ে রাখতে কিন্তু পারিনি। এখন আমি তাদের উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি, যাতে কেউ আর সামনে কোন বাড়াবারি না করে। আমরা স্থানীয়ভাবে বসে তার সুষ্ঠ বিচার করবো।’
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬ : ৪০ পিএম, ২১ মে ২০১৭, রোববার
ডিএইচ