নির্বাচনে না এলে বিএনপি নামে কোনো দল এদেশে থাকবে না। আমার বিশ্বাস আগামী নির্বাচনে বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রোববার রাতে অর্থমন্ত্রীর সিলেটের বাসভবনে সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান বাদশাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন জালিয়াতির পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ অনেক দেন দরবার করে এটা নিশ্চিত করেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শুরু হবে কিন্তু শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। তাই এখন থেকে নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী মনোভাব রেখে প্রস্তুতি শুরু করতে বলেন তিনি।
সিলেট-১ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী দুই জন উল্লেখ করে মুহিত বলেন, প্রক্রিয়া অনুযায়ী এই আসনে ২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। একজন আমার ছোট ভাই ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আরেকজন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।
বিগত ১০ বছরে দুই মেয়াদে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন কোনো অভাব নেই। অর্থনৈতিক জাগরণ ও উত্থান সর্বত্র লক্ষনীয়। গ্রাম ও শহরের মধ্যে এখন কোনো তফাৎ নেই।
তিনি বলেন, দেশে গরিব মানুষ তেমন নেই। তবে অস্বচ্ছল লোক আছে। মাত্র ৯ শতাংশ অতি গরিব লোক দেশে রয়েছে। আবার ক্ষমতায় এলে এর হার ৫ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।
কর্মীসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সাবেক প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ.কে আব্দুল মোমেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মখলিছুর রহমানসহ প্রমূখ।
এছাড়া সভায় উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। (জাগো নিউজ)