‘ক্লিন চাঁদপুর গ্রীন চাঁদপুর’ চাঁদপুরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার স্লোগান এটি। এই স্লোাগান বাস্তবায়নে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। কিন্তু জেলা প্রশাসনের এসব পরিকল্পনা কাজে আসছে না যথাযথ জনসচেতনতার অভাবে।
‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ এর সার্বিক উন্নয়নে জেলা প্রশাসন ‘ক্লীন চাঁদপুর গ্রীন চাঁদপুর’ করতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রাশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মোহাম্মদ আবদুল হাইসহ পৌরসভা চাঁদপুরকে নতুন রূপে গড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
চাঁদপুরকে ক্লিন ও গ্রীন রাখতে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্যে শহরের বিভিন্নস্থানে মিনি ডাস্টবিন স্থাপন করেছেন। এসব অস্থায়ী ডাস্টবিন থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আবর্জনা নিয়ে ফেলার কথা রিসাইক্লিং সেন্টারে। অথচ জনসচেতনতার অভাবে শহরবাসী জেলা প্রশাসনের দেয়া ওই ডাস্টবিনে ময়লা আর্বজনা না ফেলে রাস্তার পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলছেন।
গণসচেতনতার অভাবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা জমিয়ে রাখা হয় রাস্তাার পাশে। এতে পথচারীর চলাচলে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।
বিশেষ করে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, শহরের স্টেডিয়াম রোডের আউটার স্টেডিয়াম গেট সংলগ্ন স্থানীয় বিভিন্ন বাসা বাড়ির লোকজন সড়কের পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলছেন।
এছাড়া শহরের নতুন বাজার সিএসডি গোডাউনের সামনে ট্রাক রোড ও পুরাণ বাজার ব্রীজের নিচে পৌর ঈদ গাঁ সংলগ্ন স্ট্যান্ড রোডে বিশাল জায়গা জুড়ে ময়লা আর্বজনা ফেলে রাখতে দেখা যায়।
খোলা জায়গায় রাস্তার ওপর এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে যেমন চাঁদপুর শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। এসব ময়লা আবর্জনা খোলাস্থানে ফেলে রাখার কারণে দুর্গন্ধে নাকে হাত রেখে যাতায়াত করছেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।
চাঁদপুরের সার্বিক উন্নয়নে ‘ক্লিন চাঁদপুর গ্রীন’ চাঁদপুর গড়ে তুলতে আমরাই যদি এগিয়ে না আসি বা সহযোগিতা না করি তাহলে চাঁদপুরের উন্নয়ন হবে কি করে ? এমন অভিমত প্রকাশ করেন সুধী সমাজের অনেকে।
তাই ‘ক্লিন চাঁদপুর গ্রীন’ চাঁদপুর রক্ষায় জনসচেতনতার জন্যে জেলা প্রশাসনকে নতুন কোনো ভূমিকা কিংবা নতুন কোনো পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন চাঁদপুরের সুধী সমাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকানি ডাস্টবিন ব্যবহার না করার ব্যাখা দিতে গিয়ে বলেন, ময়লাগুলো ডাস্টবিনে জায়গা হবে না। তার নাম জানতে চাইলে এড়িয়ে গেয়ে উল্টো তিনি শুনিয়ে দিলেন, সবাই তো ফেলছে। এভাবে জনসচেতনতা না থাকায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভাবে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’র সৌন্দর্য হানি ঘটছে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে লাগানো ছোট ডাস্টবিন শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য কাজ করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
গণসচেতনার অভাবের কারণে ডাস্টবিনের ময়লার পাশাপাশি রাস্তায় ফেলা ময়লা পরিষ্কার করতে হয় বলে জানান পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। তার বাবাও এই কাজে নিয়োজিত বলে জানান তিনি।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫: ৩৫ পিএম, ৫ মে ২০১৭,শুক্রবার
এইউ/এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur