ঢাকায় ছয় দিন মাংস বিক্রি বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন শেষে হুট করেই কেজিপ্রতি মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। তবে সেই মূল্যবৃদ্ধিই এখন তাদের জন্য বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানুষ গরুর মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। বিক্রি কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অনেক ব্যবসায়ীকে মাংসের দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে ছয় দিন ধর্মঘট পালন করে মাংস বিক্রেতারা। ধর্মঘট শেষে দোকান খুলে তারা কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দেয়। এখন তা তাদের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। মানুষ গরুর মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। বিক্রি লাভজনক পর্যায়ে না থাকায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মাংসের দোকান। এই অবস্থায় মাংস ব্যবসায়ী নেতারা বারবার সরকারের সঙ্গে বসতে চাইলেও পাত্তা পাচ্ছে না। তাই তারা আবারও ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যে জানা যায়, গরু ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চেইনগুলোতে বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে গত ১৫ এপ্রিল সিটি করপোরেশনসহ সরকারি কয়েকটি দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছে মাংস ব্যবসায়ীরা। ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে আলোচনার সুযোগ চেয়েছে তারা। এর মধ্যে আলোচনায় না বসলে ১ মে থেকে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় তারা।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম শনিবার বলেন, রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করবে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। সেখান থেকে আলোচনার জন্য কর্তৃপক্ষকে আরো ১৫ দিনের সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে আলোচনা না হলে প্রথম রমজান থেকে ফের অনির্দষ্টিকালের জন্য মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেবে ব্যবসায়ীরা।
গত ফেব্রুয়ারিতে ছয় দিনের ধর্মঘট করেছে মাংস ব্যবসায়ীরা। তখন তারা বলেছিল, সরকার সমস্যা সমাধান করে দিলে তারা ৩০০ টাকা বা তারও কম দামে ক্রেতাদের মাংস দিতে পারবে।
এসব বিষয়ে রবিউল আলম বলেন, ‘ট্যানারি স্থানান্তরের কারণে আমরা গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারছি না; এখানে নিয়মিত লোকসান গুনতে হচ্ছে। গরুর মাংস ৫০০ ও খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজি হওয়ায় মানুষ গরু-খাসির মাংস খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে অর্ধেকের মতো মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। ‘
সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলে কী উপকার হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে। সেগুলো সবাই জানে। এটা হলে আমরা কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারব। কিন্তু বারবার স্মারকলিপি দিলেও তাতে কোনো ফল হচ্ছে না। তাই আমরা আবার ধর্মঘটের চিন্তা করছি। ‘ (কালেরকণ্ঠ
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ০০ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৭, রোববার
ডিএইচ