আজ ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস। আর্থিকভাবে অসচ্ছল,সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে দেশে পঞ্চম বারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বিরোধ হলে শুধু মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপসও হয়’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর আলোকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য ‘ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার’। বর্তমান সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জনকল্যাণে আইনি সেবার প্রচার ও প্রসারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমসহ বিচার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, সুবিচার পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। ধর্ম,বর্ণ,লিঙ্গ, সামাজিক বৈষম্য কিংবা দারিদ্র্যতার কারণে কাউকে বিচার প্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আজ দেশের বিচার বিভাগ পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভ করছেন উল্লেখ করে তিনি জনকল্যাণে আইনি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছাতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বার কাউন্সিল,বার অ্যাসোসিয়েশনসহ আন্তর্জাতিক
সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা,সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আইন মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ১০টায় ঢাকাস্থ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’-এর কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি আইনি সেবার বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য সারাদেশে লিগ্যাল এইড র্যালি, মেলা,পথ নাটিকা,টক-শো,গোলটেবিল বৈঠক, সভা-সেমিনার, মাইকিং ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২ : ৫০ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার
এজি