জেল কোড অনুযায়ী জল্লাদ বলতে কিছু নেই। জল্লাদের কাজই হলো শুধু লিভার ধরে রাখা এবং জেল সুপারের রুমালের দিকে দৃষ্টি রাখা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জের সিনিয়র জেল সুপার ফোনে জল্লাদ সম্পর্কে এভাবেই জানান।
তিনি বলেন, সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত কারাভোগীদের আমরাই প্রস্তাব দেই এ কাজে আসার। সেখান থেকে যারা রাজি হয় তারা আসেন জল্লাদ হতে। না হলে আমরাও অনেক সময় বাছাই করি।
এ কাজের বিনিময়ে তাদের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয় বলেও জানান তিনি। এছাড়াও সাজা বেয়াত করা হয়।
সারাদেশে জল্লাদের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারেননি তিনি। তবে ঢাকা বিভাগ সর্বোচ্চ ফাঁসি কার্যকর করা জল্লাদ হিসেবে শাহজাহানের নাম বলেন তিনি।
জল্লাদ নাম কোথা থেকে এসেছে সেটাও জানা নেই বলে জানান এ জেল সুপার।
গত দু’বছর ধরেই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকরে বেশ কয়েকবার জল্লাদদের নাম সম্মুখে আসে। শাহজাহান ছাড়াও জল্লাদ রাজু বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির মঞ্চের লিভার টেনেছেন।
এড়াও দীন ইসলাম, শাহীন, জনি, করিমও বেশ পরিচিত জল্লাদ।
জল্লাদ হিসেবে তৈরি হতে শারীরিকভাবে সুঠাম যেমন হতে হয়, তেমনি মানসিক শক্তিও বেশি প্রয়োজন হয় বলে জানান কারাগার সংশ্লিষ্টরা।(বাংলা নিউজ)
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৭ : ৩০ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার
এইউ