‘আমরা আতঙ্কে আছি ও ক্লাস করছি । ভবনটির ফ্লোর দেবে গেছে, আস্তর উঠে গেছে, দেয়াল ধসে এক অংশ পুকুরে পড়ে গেছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর টাইমসের সাথে কথাগুলো বলেন শাহরাস্তির চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের তৈত্বশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনজুমা বেগম ।
বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। । বেশ ক’বছরে ধরে ফলাফলের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা আছেন ভীষণ উদ্বিগ্নে ।’
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ১৯৭০ সালে তৈত্বশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সরকারিভাবে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সে থেকে এর পথ চলা শুরু হলেও এখনও অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে পাঠদান বিঘিœত হচ্ছে। বিশেষ করে ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ।
এটি যে কোনো মূহুর্তে ধসে পড়তে পারে। ফলে আমরা আতঙ্কে আছি ও শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কিত। তিনি আরও বলেন, এ ভবনটিকে অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছিল।
ভবনটির ফ্লোর দেবে গেছে, আস্তর উঠে গেছে, দেয়াল ধসে এক অংশ পুকুরে পড়ে গেছে। ওপরে চালা (টিনশেড) থাকায় ঝড় বৃষ্টিতে ক্লাস করতে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে । আমাদের পাঠদানে শ্রেণি কক্ষেরও সঙ্কট রয়েছে। শ্রেণি কক্ষে ব্যাঞ্চ, বৈদ্যুতিক পাখা ও টয়লেট সঙ্কট রয়েছে। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি বিদ্যালয়টি দেখেছি। জরাজীর্ণ তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয ভবনের ঝুঁকির মধ্যেও পড়া লেখা ভালো ফলাফল অর্জন করছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামসুল হক বলেন, ‘ তৈত্বশ্বর, নাগবাড়িয়া ও বেততোলা গ্রামের শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ে পড়া লেখা করছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন। ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। বিগত ৫ বছর যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে পাঠদান। ’ এ ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দৃষ্টি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান তিনি ।
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:৩০ পিএম,১১ এপ্রিল ২০১৭,মঙ্গলবার
এজি/ডিএইচ