স্ট্রোক খুব পরিচিত অসুখ। হাসপাতালে স্ট্রোকের অনেক রোগী দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবছর স্ট্রোকের কারণে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। অনেকে অসুস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারায়। অথচ সাবধানতা অবলম্বনে স্ট্রোক অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। স্ট্রোক হয়ে গেলে সে ব্যক্তির এবং পরিবারের অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়। তাই প্রতিরোধের দিকে সবার নজর দেয়া দরকার।
স্ট্রোকের বিভিন্ন কারণ আছে। এর মধ্যে কিছু আছে সেগুলো পরিবর্তন করা যায়। আর কিছু কারণ আছে সেগুলো পরিবর্তন করা যায় না।
১। ধূমপান ২। উচ্চরক্তচাপ ৩। ডায়াবেটিস ৪। রক্তে চর্বির অধিক্য ৫। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ৬। শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা ৭। এলকোহল ইত্যাদি। ধূমপান ও এলকোহল স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। কেউ যদি এলকোহল ও ধূমপান বর্জন করে তবে তার স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। স্ট্রোক প্রতিরোধ সহজ হবে। উচ্চ রক্তচাপের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারণ জানা যায় না।
উচ্চ রক্তচাপ ভালো হয় না। ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। কেউ যদি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে তবে তার স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস স্ট্রোকসহ নানা জটিল রোগ সৃষ্টি করে। অথচ নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে স্ট্রোকসহ নানা রোগের ঝুঁকি কামে যায়। পরিশ্রম না করলে বা বেশি তেল চর্বি খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে। এর ফলে স্ট্রোক হতে পারে। নিয়মিত ব্যয়াম করলে তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। তেল চর্বি কম খেলে স্ট্রোক ও হৃদরোগ কম হয়। শাকসবজি ও ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চর্বি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। স্ট্রোক কম হবে। লবণ কম খেতে হবে। লবণ কম খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। বয়স, পারিবারিক ইতিহাস এসবের ওপর কারো হাত নেই। বয়স বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স তো আবার আটকানো যাবে না। কিন্তু ধূমপান তো চাইলেই পরিত্যাগ সম্ভব।
সুতরাং নির্দ্বিধায় এ কথা বলা যায় সাবধান হয়ে চললে স্ট্রোক অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:৫০ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার
এজি