Home / জাতীয় / অপারেশন ট্যোআইলাইট : চূড়ান্ত অভিযানে সেনা প্যারা-কমান্ডো
army
প্রতীকী ছবি

অপারেশন ট্যোআইলাইট : চূড়ান্ত অভিযানে সেনা প্যারা-কমান্ডো

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন একটি জঙ্গি আস্তানায় চুড়ান্ত অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল। অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন ট্যোআইলাইট (গোধুলী বা প্রত্যুশ)।

সকাল বেলায় অভিযান চালানোর কারণে এমন নাম দেয়া হয়েছে।

আইএসপিআর এর পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, এই অভিযান সম্পূর্ণভাবে সেনাবাহিনী পরিচালনা করছে। আজ শনিবার সকাল ৯ টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো দল কয়েকটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

অভিযানের কারণে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিববাড়ি এলাকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি জনসাধারণ ও সংবাদকর্মীদেরও ওই এলাকা থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

লে. কর্নেল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে এই বিশেষ অভিযানে সম্মুখভাগে অংশ নিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো সদস্যরা। অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন।
বাইরে রয়েছেন সোয়াট, র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা এ খবর নিশ্চিত করেন।

জঙ্গিরা পুলিশের আহ্বানের পরও আত্মসমর্পণে সাড়া না দেওয়ায় সোয়াট টিমের সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট।

শুক্রবার সারা রাত সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা বাসাটি ও তার আশাপাশের এলাকা ঘিরে রেখে অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ওই এলাকায় ও তার আশপাশে বাড়ানো হয় পুলিশের সংখ্যা। বাসার চারদিক হ্যাজাক লাইট দিয়ে আলোকিত করে রাখা হয়।

বাসাটির ৫তলা ও ৪তলা দু’টি ভবনের সবক’টি ফ্লাটে ২৮টি পরিবারের লোকজন জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। ভেতরে থাকা লোকজনকে কিভাবে বের করে আনা যায়, সে চেষ্টায় রয়েছে যৌথ বাহিনী।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি ‌এলাকার উস্তার মিয়ার বাড়ি ‘আতিয়া মহল’ ঘেরাও করে রাখে পুলিশ।

সকাল সোয়া ৭টায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা আল্লাহ আকবার বলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে সকাল ৯টা থেকে পুলিশ ভবন লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুড়ছে। তবে ভবনের ভাড়াটিয়া নিরীহ লোকজনের কাউকে বের করে আনতে পারেনি।

পুলিশের ধারণা ‘মর্জিনা’ নামে কোড ব্যবহার করে জঙ্গিরা ওই বাসায় অবস্থান নিয়েছে। বাসায় নব্য জেএমবি নেতা মুছা থাকতে পারে, এমন ধারণাও পোষণ করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২: ১৭ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ

Leave a Reply