এখনকার যুগের অনেক মেয়েই বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে থাকা পছন্দ করেন না, বরং স্বামীকে নিয়ে একলা থাকতে চান তারা। দুজনে মিলে সংসার, হয়তো ছেলে মেয়ে… এমনটাই থাকে আজকালকার মেয়েদের স্বপ্ন। কিন্তু সত্যি কথাটা এই যে মা-বাবার সাথে একত্রে একই পরিবারে বাস করা ছেলেরা কিন্তু স্বামী হিসাবে অনেক ভালো হয়ে থাকেন এবং তাঁদের সাথে জীবনটাও বেশ সুখেই কাটে। হ্যাঁ, সমস্যা সংসারে থাকেই। সেটা একলা থাকলেও থাকবে, আবার জয়েন ফ্যামিলিতে থাকলেও থাকবে। কিন্তু পরিবারে যখন মাতা-পিতা থাকেন, সেই পরিবারের ভাবটাই যেন বদলে যায়।
চলুন, জেনে নেয়া যাক কেন মা-বাবার সাথে থাকতে আগ্রহী ছেলেরা পাত্র হিসাবে ভালো।
১) তাঁদের গড় উপার্জন ও সঞ্চয়টা বেশ ভালোই হয়। মা-বাবার দায়িত্ব নিতে হলে সব ছেলেই বেশি উপার্জনে আগ্রহী হয়ে থাকেন। অন্যদিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাবারও একটা সঞ্চয় থাকে, ফলে একলা সংসার চালানোর চাপ অনেক ক্ষেত্রেই নিতে হয় না। সেকারণে সঞ্চয়টাও বেশি পাওয়া যায়।
২) যেসব ছেলেরা বিয়ের পর মা-বাবার সাথে থাকেন, তারা স্ত্রীর সাথে ঝগড়া কম করেন। স্ত্রী কারণে না হোক, নিজের মা-বাবার কথা চিন্তা করে হলেও ঝগড়া ঝাঁটি ও মারামারি বেশিদূর নিতে দেন না।
৩) এই ধরণের ছেলেদের পরকীয়া ও অন্যান্য অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর হারটাও কম। একদিকে তো মা-বাবার চিন্তা করার ব্যাপারটা থাকেই, অন্যদিকে বাড়িতে সবসময়েই মুরুব্বী কেউ উপস্থিত থাকেন এইসব ব্যাপারে নজর রাখার জন্য।
৪) একই পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বোনের সাথে থাকা ছেলেরা অনেক বেশি ধৈর্যশীল হয়ে থাকেন। ঝামেলায় মাথা ঠাণ্ডা রাখা ও সবার সাথে শেয়ার করে সমঝোতা করে চলতে তারা ভালো জানেন। এমন পুরুষ স্বামী হিসাবে ভালো হন।
৫) মা-বাবার সাথে থাকা ছেলেরা বাবা হিসাবেও ভালো হন। তার নিজের জীবন থেকে মা-বাবার স্নেহ ভালোবাসার মূল্যটা তিনি বুঝে যান। ফলে নিজের সন্তানের জন্য সময় ও ভালোবাসার অভাব হয় না তার জন্য।
৬) অনেক মেয়েই মনে করেন যে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে থাকলে স্বামীর সাথে রোমান্সের সময় কম পাবেন কিংবা দুজনের মাঝে বন্ধন গড়ে উঠবে না। বিষয়টা আসলে উল্টো। শ্বশুর শাশুড়ির সাথে থাকলে যেমন অনেকগুলো দায়িত্ব বাড়তি থাকে, তেমনি অনেক আবার কমেও যায়। বিশেষ করে সন্তান হবার পর তারা দাদা দাদীর কাছেই বেশি থাকে, ফলে আপনারা পাবেন অনেকটা ব্যক্তিগত সময়।
৭) মা-বাবার সাথে থাকাত পুরুষেরা স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়া থেকেও যতটা সম্ভব দূরে থাকতে চান। অন্তত নিজের মা বাবা মনে কষ্ট পাবেন ভেবে হলেও।
৮) সাধারণত এমন ছেলেরা স্ত্রীর মা-বাবাকেও সম্মান করেন। তারা নিজেরা পিতা-মাতার সাথে থাকেন, তারা জানেন জীবনে পিতামাতার গুরুত্ব কতখানি। ফলে স্ত্রীর পিতামাতাও তাঁদের কাছ থেকে সম্মান পেয়ে থাকেন।