চাঁদপুর মতল উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম। অনেক দিন আগ থেকেই ভবনের ছাদ বা ভীম খসে পড়ছে ।
বিদ্যালয়টি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে একটি মাত্র ভবন হয়েছে। ক’বছর যাবত বিদ্যালয়টি খুবই জরাজীর্ণ। এখনো ওই জরাজীর্ণ ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে।
গত তিন বছর আগে ক্লাস চলাকালে স্কুল লাইব্র্রেরির ভীম খসে পড়ার শব্দ শুনে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর বড় কোনো দুর্ঘটনার ভয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস চলছে ২শ’ ৮৫ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিত্যাক্ত ভবনটি খসে পড়ছে। দেয়ালে বড় আকারে ফাঁটল ধরেছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনার আতংকে স্কুলের পিছনে খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করানো হচ্ছে। বৃষ্টি এলে বেজে ওঠে ছুটির ঘন্টা। রোদেও একই অবস্থা।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ বিদ্যালয়টি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই একটি মাত্র ভবন। ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় ১ আগস্ট ২০১২ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য একাধিকবার আবেদন করেও কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পাচ্ছিনা। উপায়ান্তর না পেয়ে বাহিরে বিছানা করে ক্লাস চালিয়ে নিচ্ছি। ভবন ও ক্লাসরুম সংকটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী লায়ন ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ হওয়ায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি ইতিমধ্যে ভবনটি নির্মাণের জন্য নির্দেশ দেন।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কবির হোসেন জানান, ‘সম্প্রতি জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়েছি ও উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ ৬২ স্কুলের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বরে জেনেছি। পর্যায়েক্রমে সকল জরাজীর্ণ স্কুলগুলোতেই ভবন হবে।’
প্রতিবেদক- খাঁন মোহাম্মদ কামাল
।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ০৯ : ০০ পিএম, ০৩ মার্চ ২০১৭ শুক্রবার
এইউ