দেশে প্রতি মিনিটে জন্ম নেয় ৪ শিশু, বছর শেষে এর সংখ্যা দাঁড়ায় অন্তত ২০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮ লক্ষ শিশুরই জন্ম সিজারে। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক এন্ড হেলথ সার্ভের প্রতিবেদন অনুযায়ী সিজারের হার বাড়ছে দ্বিগুণ হারে।
তবে এর পিছনে যতোটা না বাস্তবতা তার চেয়ে বেশি বাণিজ্যিক কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রসূতিদের বিনা পয়সায় প্রসব সেবা তারা পাওয়ার কথা থাকলে ও কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে সে সেবা পাচ্ছে না ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে প্রতি মিনিটে জন্ম নিচ্ছে ৪টি শিশু । সে হিসেবে মাসে গড়ে সাড়ে ৫ হাজার এবং বছরে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ লাখে। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক এন্ড হেলথ সার্ভের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় ৬০ ভাগ শিশু বাসায় আর বাকি ৪০ ভাগ ক্লিনিক বা হাসপাতালে। এর মধ্যে জন্ম নেয়া ১০ জন শিশুর মধ্যে ৬ জনেই সিজারে।
এমন সিজারের ৮০ ভাগই হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে। ২০০৪ সালে যেখানে সিজারের হার ছিলো মাত্র ৪ শতাংশ বর্তমানে সে হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সন্তান জন্ম নেয়ার ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অস্ত্রপচার দরকার হয়ে থাকে তার মানে ৮০ শতাংশ সিজার হচ্ছে অপ্রয়োজনীয়। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতলের গাইনী বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা.সালমা রউফ বলেন , কিছু রোগীরা আবার নিজেদের ভয়ের কারণে ও সিজার করে থাকে।
রাজধানীতে মধ্যবিত্ত প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারের জন্য খরচ হয় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। ক্লিনিকে আসা এক ভুক্তভোগী জানান ডাক্তারা বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ তখন এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমাদের সিজারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
তবে নিন্ম ও মধ্যবিত্তদের সেবা কেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল যেখানে এক সময় অধিকাংশ স্বাভাবিক প্রসব হলেও এখন অধের্কেই হচ্ছে সিজারে।
এদিকে আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বিগত বছরগুলোতে স্বাভাবিক প্রসব করা হলেও কেনই বা এখন সিজারে প্রসব হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে কোন সঠিক উত্তর দেয়নি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। (দৈনিক আমাদের সময় )
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০: ৪০ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭, শনিবার
এজি/ডিএইচ