পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় রাবেয়া বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তার সাবেক স্বামী মিন্টু সরদার ওরফে সাগর (৩৫)।
গতকাল বুধবার দিনগত রাত ১টায় উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের বড় সিংগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মিন্টুকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত রাবেয়া মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় সিংগা গ্রামের হালিম ফকিরের মেয়ে। ঘাতক মিন্টু মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের নাদের আলী সরদারের ছেলে। মিন্টু ঢাকায় অটো টেম্পু চালায়।
নিহত রাবেয়ার পিতা হালিম ফকির জানান, রাবেয়া পাঁচ মাস আগে মিন্টু সরদারকে তালাক দিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। তালাক দেওয়ার পর মিন্টু রাবেয়াকে ফিরিয়ে নিতে একবার এসেছিল। কিন্তু সে মাদকাসক্ত স্বামীর সাথে যেতে রাজি হয়নি।
বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে রাবেয়া প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বাইরে বের হলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা মিন্টু সরদার রাবেয়ার বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। রাবেয়ার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে রাবেয়ার মৃত্যু হয়।
ওই রাতেই গ্রামবাসী মিন্টু সরদারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
মঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নকীব আকরাম জানান, মিন্টু মাদকসেবী ছিলেন। রাবেয়াকে প্রায়ই তিনি মারধর করতেন। এ কারণে পাঁচ মাস আগে রাবেয়া মিন্টু সরদারকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। রাবেয়াকে তার স্বামী বারবার ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বুধবার রাতে সে এ ঘটনা ঘটায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে ঢাকা থেকে এসে ব্যর্থ হয়। তখন মিন্টু স্ত্রীকে ভালবাসার প্রমাণ দিতে ব্লেট দিয়ে তার সামনে দাড়িয়ে নিজের বুক ক্ষত বিক্ষত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনা দেখেও রাবেয়ার কোনো সাড়া না পেয়ে মিন্টু ফিরে যায়।
এ ঘটনায় থানায় মিন্টুর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদনটি দেখুন–স্বামী নিজের বুক চিরে ভালোবাসার প্রমাণ দিলেন!
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৬:১১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ সোমবার
এইউ