লোকবল সংকটে সব স্থানে ট্রাপিক পুলিশ দেয়া সম্ভব হয়নি : টি আই দেলোয়ার হোসেন
চাঁদপুর শহরের বেশ ক’টি জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে প্রতিদিন নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি না থাকায় যানজট ও যান চলাচলে বিড়ম্বনা তৈরি হচ্ছে।
দীর্ঘ ক’বছর ধরে শহরের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখতে নতুন বাজার পাল বাজার ব্রীজের অভিমুখ, কালীবাড়ি মোড়, শপথ চত্বর, বাসস্ট্যান্ট এবং ওয়্যারলেস মোড়ে প্রতিদিনই নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি থাকে লক্ষ্য করা গেছে।
এসব স্থান ছাড়াও চাঁদপুর শহরের আরো বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে এবং নতুন সড়ক তৈরি করায় আরো স্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেগুলোতে প্রতিদিন নিয়মিত কোন ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। আর ওইসব স্থানগুলো হচ্ছে মিশন রোড ৪ রাস্তার মোড়, নতুন বাজার, চিত্রলেখার মোড়, ট্রাকঘাট, ইলিশ চত্বর।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণেমিশন রোডের চার রাস্তার মোড় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ রাখতে অন্যান্য গুরত্বপূর্ন স্থানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়মিত ট্রাপিক পুলিশের পাহারা থাকলেও মিশন রোড, নতুন বাজারসহ আরো কয়েকটি স্থানে শুধু বিশেষ দিন ছাড়া অন্যান্য সময়ে সেখানে কোন ট্রাফিক পুলিশের ডিউটি লক্ষ্য করা যায় না।
দেখা গেছে যে যখন কোন এমপি, মন্ত্রী কিংবা কোন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চাঁদপুরে আগমন করেন তখন এসব স্থান গুলোতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি হয়ে থাকে। যখন আবার আগত অতিথিরা চাঁদপুর ত্যাগ করেন তারপর সে স্থানগুলো ট্রাফিক শূন্য হয়ে পড়ে।
আর নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ না থাকার কারনে ট্রাক, বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, রিক্সা, অটোবাইক ও মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন যে যার ইচ্ছেমতো বেপরোয়া চালাচ্ছেন। এলোমেলো ভাবে গাড়ি চালানোর কারনে তখন শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট লেগে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী সাধারণের।
বিশেষ করে এ তিনটি স্থানে নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশের ডিউটি না থাকায় প্রায়ই এসব স্থানগুলোতে একটির সাথে আরেকটির সংঘর্ষ বেধে দুর্ঘটনা ও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে বেশি ঝুকিপূর্ণ মিশন রোড এলাকাটি। এ স্থানে চারটি রাস্তা সংযুক্ত হওয়ায় চারদিকের যানবাহন গুলো এখানে আসার পর ট্রাপিক পুলিশের উপস্থিতি না থাকার কারনে অনেক জটলা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
চাঁদপুরে দিনদিনই বিভিন্ন যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে কিন্তু সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়েনি ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সংখ্যা।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের মাসিক আইনশৃঙখলা কমিটির সভায় সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যাড. নুরজাহান বেগম মুক্তা চাঁদপুর শহরের যান চলাচল প্রসঙ্গে বলেন, চাঁদপুরে চাহিদার চেয়ে বিভিন্ন যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেন তিনি।
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি না থাকার প্রসঙ্গে কথা হয় চাঁদপুর সদর ট্রাপিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. দেলোয়ার হোসেনের সাথে।
তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘লোকবল সংকটের কারণে সব জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের টহল ফোর্স দেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে এসপি স্যারের মাধ্যমে আমরা বেশ ক’বার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি কিন্তু তাতেও এ সংকট কাটেনি।’
তিনি আরো জানান, ‘চাঁদপুর শহরে যে পরিমাণ ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজন সে পরিমাণ নেই। যেখানে চাঁদপুর শহরে অন্তত ৪০ জন ট্রাফিক সদস্যের দরকার সেখানে রয়েছে মাত্র ১৭ জন। দেখা গেছে যে এদের মধ্যে কেউ ছুটিতে থাকে আবার কেউ অসুস্থ থাকেন। এজন্য চাঁদপুর শহরের সব জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ দেয়া সম্ভব হয়নি।’
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪ : ৫০ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ