তাওহীদ মানে একত্ববাদ। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালাকে এক বলে জানা ও স্বীকার করা। তিনি তাঁর অস্তিত্ব ও গুনাবলিতে সম্পূর্ণ এক ও একক। তাঁর সত্ত্বা সম্পর্ণ অবিভাজ্য ও অখন্ডনীয়। তাঁর খোদায়ী গুণরাজি সম্পূর্ণ পূত-পবিত্র এবং শুধুমাত্র তাঁরই জেন্য নির্দিষ্ট। তিনি এক ও অনন্য।
এ সম্পর্কে আল্লাহতা’য়ালা বলেন, হে নবী বলে দাও, তিনি আল্লাহ এক। আল্লাহ সবকিছু থেকে মুখাপেক্ষী হীন। সবকিছুই তাঁর মুখাপেকক্ষী। না তাঁর কোনো সন্তান আছে আর না তিনি কারো সন্তান। তাঁর সমতুল্য কেহই নেই। (সূরা ইখলাস)
তিনি আরো বলেন- ‘তোমাদের ইলাহ এক ও একক ইলাহ। সেই দয়ালু ও দয়াবান ব্যতিত আর কোনো ইলাহ নেই। (সূ বাকারা-১৬৩)
তাওহীদ সম্পর্কে রাসূল (স.) বলেন: ‘কোনো ব্যক্তি যদি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর ঘোষণা দেয় এবং এরই উপর মৃত্যুবরণ করে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(মুসলিম)
ঈমান শব্দটি আমান ধাতু থেকে নির্গত।
‘আমান’ এর মূল অর্থ হচ্ছে, আত্নার প্রশান্তি ওনির্ভীকতা লাভ। এই আমান ধাতুর -ই ক্রিয়া রুপ হচ্ছ ঈমান। এর তাৎপর্য হচ্ছে, মনের ভিতর কোনো কথা প্রত্যয় এ সততার সাথে এমনিভাবে দৃঢ়মূল করে নেয়া যেনো তার প্রতিকূল কোনো জিনিসের পথ খুজে পাওয়া বা প্রবেশ করার কোনো প্রকার আশংকাই না থাকে।
ঈমানের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আন্তরিক বিশ্বাস। মহানবী (স.) আল্লাহর নিকট হতে যা কিছু নিয়ে এসেছেন, তাঁর বিশদ বিষয়গুলোকে বিশদভাবে এবং সংক্ষিপ্ত বিষয়গুলোকে সংক্ষিপ্তভাবে আন্তরিক বিশ্বাস করার নাম ঈমান।
ঈমান সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘কুরআন হিদায়াত দান করে সে সমস্ত লোকদের যারা আল্লাহকে ভয়কারী, যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, আমি
তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে। যারা ঈমান আনে রাসূলের ওপর অবতীর্ণ কিতাবের (কোরআন) প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের উপর অবতীর্ণ কিতাব সমূহের
প্রতি আর যারা বিশ্বাস রাখে পরকালের প্রতি। (সূরা বাকারা আয়াত- ২-৪)
লেখক- মাও. শামছুদ্দীন মাহমুদ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ০০ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur