দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষায় এখনও ছেলেদের চেয়ে পিছিয়ে আছে মেয়েরা। এক্ষেত্রে নিরাপত্তাসহ নারী শিক্ষায় সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এই প্রবণতা রোধে রাষ্ট্রের প্রণোদনা বাড়ানোর কথা বলছেন নারী নেত্রীরা।
নারীদের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে এভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’ নারী শিক্ষার্থী।
তাদের এসব কথার প্রতিচ্ছবি যেন বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্যের পরিসংখ্যানও। বর্তমানে দেশে প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের ভর্তির হার ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশ যা মোট শিক্ষার্থীর ৫১ শতাংশ আর মাধ্যমিকে ভর্তির হার ৫৩ শতাংশ। তবে কলেজ পর্যায়ে তা ৪৭ শতাংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কমে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশে।
গণস্বাক্ষরতা অভিযান নির্বাহী পরিচালক রাশেদা চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকে সমতা অর্জন হয়েছে। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণিতে মেয়েদের হার নিম্নমুখী হতে থাকে। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখনো মেয়েদের অংশগ্রহণের হার ৪০ শতাংশের নিচে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানালেন, উচ্চ শিক্ষায় নারীদের সংখ্যা বাড়াতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ নারী নেত্রীদের।
পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে নারী বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে উচ্চ শিক্ষায় নারীদের সংখ্যা বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অবদান। এমনটাই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৮:২৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার
এজি / এইউ