চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নতুন হাওলাদার বাজারে স্বর্ণ বন্ধক, জমি বিক্রি ও ব্যবসার অংশীদার বানিয়ে শাতাধিক পরিবারকে প্রতারণা ফাঁদে পেলে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে ৩ স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
এরা হচ্ছে মৌসুমি জুয়েলার্সের মালিক বিপ্লব মজুমদার, মাতৃ শিল্পালয়ের মালিক পলাশ মজুমদার ও রতন বিশ্বাস।
প্রতারিত লোকজন এ নিয়ে হাইমচর ও রায়পুর থানায় একাধিক মামলা দায়ের করেছেন।
প্রতারিতরা জানান, লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার কেওড়াডুগি গ্রামের বাসুদেব মজুমদারের ছেলে বিপ্লব মজুমদার, একই গ্রামের কৃত্তান্ন মজুমদারের ছেলে পলাশ মজুমদার ও উত্তর গায়ের চর গ্রামের আশুতোষ বিশ্বাসের ছেলে রতন বিশ্বাস হাইমচর উপজেলার নতুন হাওলাদার বাজারে জুয়েলারি ব্যবসার ফাঁদ পেতে তাদের স্বর্ণ বন্ধক রেখে টাকা দেওয়ার পর পরবর্তীতে টাকা ফেরত দেওয়ার পরও স্বর্ণ ফেরত দেয়নি।
জমি বিক্রি করেও দেই দিচ্ছি করে দলিল করে দেয়নি এবং ব্যবসার অংশীদার হিসেবে টাকা নিয়ে ব্যবসার অংশতো দেয়নি বরং মূলটাকা ফেরত না দিয়ে তারা প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
গ্রাহকরা বিভিন্ন ভাবে জানতে পারি এ টাকা নিয়ে তারা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে অন্য ব্যবসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। স্থানীয়দের টাকা মেরে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এখন তারা আত্মগোপনে রয়েছে।
প্রতারিতরা আরও জানান ব্যবসার অংশীদার বানিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আলি হোসেন থেকে ৪ লাখ টাকা, আলম গাজি থেকে ৮ লাখ টাকা, মোস্তফা ঢালি থেকে ৭ লাখ টাকা, নাসির থেকে ৪ লাখ, সঞ্জয় ৭ লাখ, হরি ২ লাখ, কুদ্দুস ৪ লাখ, ইদ্রিস ৪ লাখ, বাবুল ৪ লাখ, দেবু ৩ লাখ, সাজেদা ২ লাখ, বেলি ১ লাখ, আলমগীর ১ লাখ, দেলোয়ার ২ লাখ টাকা নিয়েছে।
হাফেজ গাজি ও খোকন সহ আরও ৫০/৬০ জনের থেকে স্বর্ণ বন্ধক রেখে টাকা দিয়ে টাকা ফেরত দেয়ার পরও দেই দিচ্ছি করে স্বর্ণ ফেরত দেয়নি।
প্রতারক চক্রের মূল হোতা রতন বিশ্বাস একটি শক্তিধর প্রতারক চক্রের আশ্রয়ে শতাধিক মানুষকে প্রতারিত করে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
প্রতারিতরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে এবং প্রশাসনের স্মরণাপন্ন হয়েও কোনো কুল-কিনারা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে এলাকাতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বিএম ইসমাইল, করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০০ এএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur