ইতিমধ্যে রিমির মায়ের সাথে পরিচয়ে সুবাদে ওর পরিবারের সাথে অর্নবের ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওদের সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছেন তিনি। প্রথমে রিমিকে নিষেধ করলেও পরে অর্ণবকে ডেকে পাঠিয়ে ছিলেন। ছেলে হিসেবে সে একেবারে খারাপ না। অর্নবের মা র কথা, তোমার পরিবারকে রাজী করাও রিমির বাবা চাচাকে রাজী করানো দায়িত্ব আমার।
অর্ণব রিমির সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেলো। রিমির মা অর্ণেবের জন্য পাঁচতলার সিঙ্গেল রুমটা খালি করে দেয়ার কথা বলেছিলেন কিন্তু অর্নব রাজী হয়নি। পরের মাসে রিমির পরিবার নিচতলা থেকে ৪ তলায় উঠলো।
অর্ণবও বাসা চেঞ্জ করে এক বাসা পরে পাঁচতলার মেসে গিয়ে উঠলো।সামনের খোলা জায়গাটায় দাড়ালে রিমিদের ছাদ অল্প কিছুটা দূরে। কিছুটা ছেদ পড়লো তাদের মাঝে কিন্তু তা সাময়িকের জন্য। এখন ওদের কথা হয় ফোনে। যতক্ষন মোবাইলে টাকা থাকে ততক্ষন আর ছাদ থেকে ছাদে।
৫ম পর্ব-
মার্চের এক পরন্ত বিকেলে ভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরছিলো অর্ণব। মোবইলের স্ক্রীনে ভেসে উঠলো রিমির নাম্বার। রিসিভ করতেই জানতে চাইলো , কোথায় আছে সে? উত্তর দিতেই বাসায় ফিরে দ্রুত ওর বাসায় যাওয়ার জন্য বললো। কারণ………….?ঃ সারপ্রাইজ আছে।
বাসায় ফিরেই কাপড় চেঞ্জ করে রিমির বাসায় যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। এরমাঝে আরো দুইবার ফোন দিয়ে ফেলেছে মেয়েটি। কলিং বেল বাজতেই দরজা খুলে দাড়ালো সে। একদম সিম্পল বাসার ড্রেসে অন্যরকম লাগছে ওকে। অর্ণব দাড়িয়েই থাকলো। রিমির কথায় সম্ভিত ফিরে পেলো সে।
* কি দেখছো হা করে? ভেতরে এসো।
* না, তোমাকে আজ একটু অন্যরকম লাগছে । তাই দেখছিলাম।
বাসা পুরো ফাঁকা। অর্ণবকে গেষ্ট রুমে বসিয়ে রেখে কিচেনে গেলে রিমি।
ঠিক ৩ মিনিট পর ফিরে আসলো নাস্তার ট্রলি নিয়ে। চা নাস্তা রেডিই ছিলো গুছিয়ে আনতে যতটুকু সময় লাগলো।
* বাসায় কেউ নেই। আঙ্কেল, আন্টি, তোমার ভাই?
* না, সবাই গিয়েছে ঢাকার বাহিরে একটি অনুষ্ঠানে শুধু আমি ছাড়া। কোচিং থাকায় আমার যাওয়া হয়নি।
* আমাকে তলব করা হলো কেন?
* উপহার ফিরিয়ে দিতে।
* উপহার , কিসের উপহার?
* বছরের প্রথম দিন যে উপহার দিয়েছিলে। ধরা যায় না, ছোয়া যায় না।
নাস্তা টেবিলে সাজিয়ে রেখে রিমি এসে অর্ণবের গা ঘেসে বসলো। ওর শরীরের স্পর্শে অর্ণবের দেহে বিদ্যুৎ খেলে গেলো। নাস্তার ফাঁকে কথা হচ্ছিল আর ভালবাসার অতল সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিল দুজনে।
রিমি তখন অর্ণবের বাহুডোরে। মোমের মতো গলে যাচ্ছিল মেয়েটি। ফ্যানের বাতাসে ওর চুলগুলো এসে ভিন্ন অনুভুতি তৈরী করছিলো।
দুটি ঠোঁট স্পর্শ করলো ………। আবিস্কার করলো একই অস্তিত্ব। উভয়েই ভেসে বেড়াচ্ছিল নতুন ……. । ধীরে ধীরে উভয়েই মেতে উঠলো তরুন তরুনীর আদিম খেলায়। আদিম এ খেলায় দুটি দেহের কুমারত্ব ও কুমারিত্বের বিসর্জন দিলো দুটি দেহ।
শেষকথাঃ
এরকমই বাস্তবতা। প্রতিদিন এভাবেই অসংখ্য দেহের কুমারত্ব ও কুমারীত্ব বিসর্জিত হচ্ছে অকাতরে, পারিবারিক উদাসীনতা, সহজলভ্য মিডিয়া প্রভাব আর নৈতিক সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে। আসলে কি তা রোধ করা যাচ্ছে ?
(গল্প ও চরিত্র বাস্তবতার সাথে মিল থাকলেও এটি সম্পূর্ণ একটি কাল্পনিক গল্প, শিক্ষনিয় হিসেবে প্রকাশ করা হলো)
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur