সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও গরীব ও অসহায়দের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সেপ্টেস্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ৩ কিস্তিতে হতদরিদ্রদের মাঝে এ চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
সোমবার(৮ অক্টোবর) চাঁদপুরের বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিলারদের মাধ্যমে কার্ডধারী গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে দ্বিতীয় কিস্তির অথৎ অক্টোবর মাসের চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তবে কোনো কোনো ইউনিয়নে প্রতিটি কার্ডধারী পরিবারকে ৩০ কেজি চাল বিক্রির কথা থাকলেও ডিলার কতৃক চাল কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ডিলাররা জানায়, ‘খাদ্য গোডাউন থেকে চাল উত্তলন ও বিক্রির ক্ষেত্রে পরিবহন এবং শ্রমিকসহ নানা খাতে অনেক খরচ রয়েছে। তাছাড়া গোডাউন থেকেও চাল উত্তলনের সময় ওজনে অনেক কম দেয়া হয়। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই, কার্ড প্রতি ৩০ কেজির পরিবর্তে দু-এক কেজি করে কম বিক্রি করা হয়।’
অপরদিকে অনেক ডিলারই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ডিজিটাল স্কেলে ওজন দিয়ে প্রতি কার্ডধারীর পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
সকালে ৮নং বাগাদী ইউনিয়নে চাল বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল।
একই সমর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদসহ আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেবৃবৃন্দ ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ইউনিয়নের ডিলার নূরে আলম রিপন জানান সকাল থেকে অত্যান্ত সুশৃঙ্খলভাবে ৩৯৩জন কার্ডধারীর মাঝে চাল বিক্রি করা হয়।
একই ইউনিয়নের অপর ডিলার মো. বিল্লাল হোসেন জানান তার এলাকায় কার্ডধারীর সংখ্যা ৩৮১ জন।
১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ডিলার স্বপন বেপারী জানায় তার এলাকায় ৩৯০টি পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হয়। একই ইউনিয়নের অপর ডিলার ইব্রাহিম হোসেনের মাধ্যমে ৩৯৩ জন কার্ডধারীর মাঝে চাল বিক্রি করা হয়।
এ ইউনিয়নের ডিলাররা জানান, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতি কার্ডধারীর মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এই ইউনিয়নের অনেক কার্ডধারী জানান, ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির কথা থাকলেও কার্ড প্রতি তাদের ২/৩ কেজি করে কম দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম
৮ অক্টোবর,২০১৮