Feb 21, 2015 @ 14 : 35
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:
‘আমি নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও এবং ১৯৭১ সালে আমি এসএসসি পরিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও দুনিয়ার কাছে আমাকে যেভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, এটাই বড় কষ্ট।’ এমনটাই নাকি বলেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তার আইনজীবীরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে তা বের হয়ে আসেন।
কামারুজ্জামানের পরিবার দেখা করতে আসবে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটাতো ওনার শেষ দেখা না। রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে উনার শেষ দেখা কোনটি।’
তিনি বলেন, ‘যদি সরকারি কোনো কর্মকর্তা বলে থাকেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর যে কোনো দিনই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেতে পারে- এটা তার ভুল ব্যাখ্যা। কারণ রিভিউ পিটিশনের ১৫ দিন সময় রয়েছে। তাছাড়া এখনো তো মার্সিপিটিশনের (রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা) সময় রয়েছেই।’
কামারুজ্জামানের মানসিক অবস্থা কেমন- জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানসিকভাবে উনি বেশ দৃঢ়। কারণ তিনি কোনো অপরাধ করেননি। কিন্তু তারপরও আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অবশ্য এ জন্য কামারুজ্জামানের কোনো পরোয়াও নেই, আপসোসও নেই। অনুতপ্ত হওয়ারও কিছু নেই।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার কামারুজ্জামানের ৫৭৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ৩ নভ্ম্বের একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে গত বছর ৯ মে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।