আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারকে নিয়েই চিন্তা করলেও তৈমুর তার প্রার্থীতার ব্যাপারে অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
দলের হাইকমান্ড সুত্রে জানা গেছে রবিবার রাতে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠকের পর আলম খন্দকার তার প্রার্থীতার ব্যাপারে অনাগ্রহের কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।
এখন হাইকমান্ডের চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দুই নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ টি এম কামাল । সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ২৭টি ওয়ার্ডের নেতাদের সাথে বৈঠক করে প্রার্থী ঘোষণা করবেন খালেদা জিয়া।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খানের সম্ভাবনাই বেশি। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে রবিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন বেগম খালেদা জিয়া।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার,সেক্রেটারি কাজী মনির,সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, এ টি এম কামাল প্রমুখ।
বৈঠক শেষে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না। যে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, যে কারণে আমরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছি, একই কারণে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এটা আমার প্রতিবাদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, তৈমুর আলম খন্দকার দলের পছন্দের প্রার্থী হওয়ার পরেও তিনি অনাগ্রহ প্রকাশ করায় বিকল্প প্রার্থী নিয়ে গত রাতে খালেদা জিয়া জেলার নেতাদের মতামত শোনেন। নানা বিচারে সাখাওয়াত হোসেনকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বেছে নিতে যাচ্ছে বিএনপি।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১:২৮ পি,এম ২১ নভেম্বর ২০১৬,সোমবার
ইব্রাহীম জুয়েল
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur