শিশুদের ওজন নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তার কমতি নেই। শিশু খাবার খেতে চায় না, দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে- শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায় সব মায়েদের। আপনার এই সমস্যার সমাধান করে দেবে আজকের এই ফিচার। কিছু খাবার আছে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক খাবারগুলোর কথা।
১। দুধ
শিশুদের ওজন বৃদ্ধিতে দুধ একটি আর্দশ খাবার। এক বছর থেকে শুরু করে বড় বাচ্চাদের গরুর দুধ দিতে পারেন। প্রাকৃতিক প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটস এর উৎস দুধ। প্রতিদিন দুই গ্লাস দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া দুধের সর, ক্রিম ইত্যাদি বিভিন্ন খাবারে যুক্ত করে খাওয়াতে পারেন।
২। ডিম
প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিমের কথা আমরা সবাই জানি। প্রতি ১০০ গ্রাম ডিমে প্রায় ১৪ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। আর শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে প্রোটিনের ভুমিকা অপরিসীম। প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখুন। একটি ডিম প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, সবকিছুর চাহিদা পূরণ করে থাকে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
৩। কলা
ছয় মাস বয়সের পর থেকে শিশুকে কলা দেওয়া যেতে পারে। কলায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ রয়েছে। যা শিশুর শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪। মাখন
মাখন স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের অন্যতম উৎস। বড়দের মাখন খাওয়ায় কিছুটা সাবধান থাকতে হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। ওজন বৃদ্ধির জন্য শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাখন রাখুন। তা হতে পারে মাখন রুটি বা অন্যকিছু। এটি দ্রুত শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
৫। মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু শিশুকে ছয় মাস বয়সের পর থেকে দিতে পারেন। পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিনের সমৃদ্ধ এই খাবারটি দ্রুত শিশুর ওজন বৃদ্ধি করে।
৬। অ্যাভোকাডো
ওজন বৃদ্ধির জন্য এই ফলটি বেশ কার্যকর। এতে ফ্যাট, ক্যালরি সবকিছু একসাথে পাওয়া যায়। এর পুষ্টি উপাদান ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দ্রুত ফল পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো রাখুন।
৭। মুরগির মাংস
প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস হলো মুরগির মাংস। এটি পেশী মজবুত করে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করে। তবে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় মুরগির মাংস না রেখে মাছের পাশাপাশি সপ্তাহে এক দুই দিন মুরগির মাংস রাখুন।
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৬ :৫২ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur