৬৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল চাঁদ। ইংরেজিতে যা সুপারমুন হিসেবে পরিচিত। গতকাল সোমবার রাতে যাঁরা চাঁদের এই রূপ দেখেছেন, শিগগিরই হয়তো তাঁরা তা ভুলবেন না।
চাঁদের এ রকম উজ্জ্বলতম রূপ শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৪৮ সালে। আবার দেখা যাবে ১৮ বছর পর, ২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর।
সুপারমুন দেখতে নানা আয়োজন ছিল রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে চাঁদ নিয়ে নানাজন নানা কথাও লিখেছেন।
কেউ কেউ লিখেছেন কবিতা। চাঁদের ছবিও পোস্ট করেছেন অনেকে। সব মিলিয়ে আকাশের পাশাপাশি ফেসবুকও ছিল চাঁদময়।
জ্যোতির্বিদেরা বলেছেন, সোমবার (১৪ নভেম্বর) পৃথিবীর ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৯ কিলোমিটারের মধ্যে এসে পড়ে চাঁদ। ব্যতিক্রমী এবং বড় আকারের এই চাঁদ সুপারমুন নামে পরিচিত।
সুপারমুনের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘পেরিজি মুন’। পেরিজি অর্থ হচ্ছে ‘পৃথিবীর নিকটতম’। চাঁদ যখন পূর্ণ পূর্ণিমায় থাকে এবং বার্ষিক প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে, তখন একে সুপারমুন বলা হয়।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের যে কক্ষপথ রয়েছে তার আকৃতি ডিম্বাকার হওয়ায় কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করার সময় চাঁদ কখনো পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, আবার কখনো অনেক দূরে চলে যায়। চাঁদ যখনই পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন তা পৃথিবী থেকে খুব উজ্জ্বল দেখায়।
সোমবারের সুপারমুন সবচেয়ে ভালোভাবে দেখতে পেয়েছেন উত্তর আমেরিকার মানুষ। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, এ দেশে গতকাল সন্ধ্যা সাতটা থেকে সুপারমুন দেখা যায়।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এফ আর সরকার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ সুপারমুনের ক্ষেত্রে চাঁদ ১২ শতাংশ বড় ও ১৪ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখায়।
কিন্তু এবারের সুপারমুন ১৪ শতাংশ বড় ও ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখিয়েছে।
জ্যোতির্বিদদের মতে, ১৯৪৮ সালের পর এই প্রথম পৃথিবীর এতটা কাছে এসেছে চাঁদ। যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার ভোরের দিকে এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সোমবার রাতে সুপারমুন দেখা যায়। (প্রথম আলো)
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৯ : ০০ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৬, রোববার
এইউ