চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে বিগত ২৮ মে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী মো. আব্দুস সামাদ আজাদ।
তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞানে উপজেলার অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যানদের চেয়ে কিছুটা অভিজ্ঞ এ চেয়ারম্যান বিগত ১২জুলাই চাঁদপুর প্রশাসকের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দায়িত্ববার বুঝে নেন।
পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেই নানামুখী উদ্যোগী কাজ করে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার কাজে স্থানীয় ভোটার ও ইউপির অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) ছিল দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় ২ মাস। কচুয়া উপজেলাধীন ধারাশাহী-তুলপাই বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নব-নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক মো. আবদুস সামাদ আজাদ চাঁদপুর টাইমসকে তাঁর ইউপি নির্বাচনী বিভিন্ন ইস্তেহার ও ভবিষ্যতে ইউনিয়নবাসীর কল্যানে কি করবেন ও নানামুখী উন্নয়ন চিন্তা ধারার কিছু কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করার ইচ্ছা ছিল দীর্ঘদিনের। আল্লাহপাক সে আশা পূরণ করায় প্রথমে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি পাশা পাশি যারা আমাকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে সহযোগী করেছে এবং মূল্যবান ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানিত করেছে তাদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি মূলত ঢাকায় ব্যবসা করছি। ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে ইউনিয়ন বাসীর পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের অংশিদার হওয়ার চেষ্টা করেছি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টির নাজুক চেহারা পরিবর্তনে ভবন সংস্কার, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, সৌন্দর্য্য বর্ধন ও পরিস্কার অভিযান করি এবং কাদিরখিল-নন্দনপুর কাঁচা সড়কটির কয়েকটি স্থানে ইটা বালি দিয়ে জনচলাচলের জন্য উপযোগী করে তুলি। এসকল কাজ সম্পন্ন করতে নিজ অর্থায়নে প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ পরিষ্কার অভিযান, ধারাশাহী তুলপাই বাজার পরিচালনা কমিটি গঠন, কাদিরখিল-নন্দনপুর কাঁচা রাস্তা মেরামত করাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো ব্যক্তি উদ্যোগে করে দেয়ায় সাধারন মানুষ খুবই খুশি।’
দায়িত্বপালনে বেশ উপভোগ করার বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তথ্য ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে ডিজিটালের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে নেয়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতার কারণে নিয়ম মাফিক কাজ করতে পারছিনা। বিশেষ করে কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ না থাকায় নিজের ব্যবহৃত কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করছি। এতে কিছুটা হলেও অসুবিধা হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে চেয়ারম্যান নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ জটিলতায় নিরসনে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। বাল্য বিয়ে, মাদক, সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও ছোট খাট বিষয়গুলো নিয়ে হামলা মামলা যাতে না হয় এবং সাধারন মানুষ যাতে হয়রানি না হয় সে বিষয়টি কঠোর ভাবে হস্তক্ষেপ করে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও গন্যমান্যদের নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:৪০ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ