Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে সিসি ক্যামেরায় সনাক্ত ‘ছিনতাইকারী’ মতলবে গ্রেফতার
চাঁদপুরে সিসি ক্যামেরায় সনাক্ত ‘ছিনতাইকারী’ মতলবে গ্রেফতার

চাঁদপুরে সিসি ক্যামেরায় সনাক্ত ‘ছিনতাইকারী’ মতলবে গ্রেফতার

মহসিন ও সোহেন দুই বন্ধু। একই গ্রামে বাড়ি। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা চসে বেড়ায় এক সাথে। লোকের কাছে পেশার পরিচয় দেয় জুট ব্যবসায়ী। পরিচয় দেওয়া এই পেশার অন্তরালে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

একজন বাইক চালায়, অন্যজন পিছনে থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই করে মুহূর্তেই হাওয়া হয়ে যায়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ তাদের আটক করার চেষ্টা করলে পুলিশকে মারধর করেও পালিয়ে যায় তারা।

গত ৭ অক্টোবর সোহেন গ্রেফতার হওয়ার পর মতলব উত্তর থানা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২৬ জুন চাঁদপুর শহরে শিশুকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে এক মা ছিনতাইয়ের শিকার হন। ওই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি রেকর্ড হয় পাশের বিল্ডিংয়ে স্থাপন করা সিসিটিভিতে।

ঘটনার দিন চাঁদপুর মডেল থানায় ছিনতাই ও দস্যূতার মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নং ৫৮। ওই মামলার আসামী মতলব উত্তর উপজেলার সরদার কান্দি গ্রামের কালাই দেওয়ানের ছেলে মো. মহসিন ওরফে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের মৃত মুক্তার খানের ছেলে মো. সোহেন (২৮)।

সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবিতেই সনাক্ত করা হয় উল্লেখিত আসামীদের। এরপর গত ৭ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে নিজ বাড়ি থেকে মো. সোহেন’কে গ্রেফতার করে মতলব উত্তর থানা পুলিশ।

মতলব উত্তর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘মহসিন ও সোহেন বহুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোটরসাইকেল যোগে ছিনতাই করে আসছে। কয়েক জেলায় তাদের আটক করার চেষ্টা করলে পুলিশকে অস্ত্রাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। মানুষের কাছে ওরা পরিচয় দেয় জুট ব্যবসায়ী বলে।’

ওসি আরো জানান, ‘বিশেষ করে তারা সকাল ৮ টার দিকে শিশু বাচ্চাদেরকে রিক্সাযোগে মায়েরা স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুর শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। গত ২৬ জুন এমন একটি ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এবং আসামী সোহেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।’

এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন…  চাঁদপুরে মুখোশ পরে অভিনব কায়দায় মোটর সাইকেলযোগে চলছে ছিনতাই

খান মোহাম্মদ কামাল : আপডেট, বাংলাদেশ সময়  ০৩:০০ এএম,  ০৯  অক্টোবর  ২০১৬, রোববার

ডিএইচ

Leave a Reply