সীতাকুণ্ডে দুই সন্তানের জননীর হাতে খুন হয়েছেন স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫)। ঘাতক স্ত্রী খদিজা বেগম হত্যার ১০ ঘণ্টা পর থানায় গিয়ে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম ফেনী জেলার দাগনভুঁইয়া থানার ভবানিপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র।
উপজেলাধীন মাদাম বিবিরহাট নেভী গেট এলাকায় বুধবার গভীর রাতে তার বাসা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এরপরই পুলিশ খদিজা বেগমকে আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার নিজ বাসায় জাহাঙ্গীর ড্রাইভার তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ঘরে থাকা পাথর দিয়ে জাহাঙ্গীরের ঘাড়ে আঘাত করে খদিজা। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়।
একপর্যায়ে মাদাম বিবিরহাট থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে থানায় এসে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করে খদিজা। পুলিশ রাত দুইটায় মাদাম বিবিরহাট নেভীর গেট এলাকায় নাসির কন্ট্রাক্টরের ভাড়ার ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আটককৃত খদিজা বেগম জানান, ‘তার স্বামী আবুল খায়ের লরির ড্রাইভার ছিল। দীর্ঘদিন ধরে মদ পান করে তাকে নির্যাতন করে আসছিল। একই ভাবে মঙ্গলবার রাতে তাকে নির্যাতনের পর বুধবার রাতে স্বামীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ঘরে থাকা পাথর (উতে) দিয়ে তাকে আঘাত করলে, সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।’
সীতাকুণ্ড থানার ওসি তদন্ত মোজাম্মেল হক জানান, ‘আমরা রাত দুইটার সময় লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি হত্যামামলা করা হয়েছে।’
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪:০০ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur