প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক কলেজছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার সময় গণপিটুনির শিকার হয়েছে সবুজ ও সুজন নামে দুই বখাটে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
বৃহস্পতিবার ভাঙ্গা উপজেলার কে এম কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত সোমবার সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার সময় এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে খাদিজাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন ছাত্রলীগের নেতা বদরুল আলম। বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজা চিকিৎসাধীন।
কলেজের অধ্যক্ষ মোশায়েদ হোসেন ঢালি জানান, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সবুজ একই কলেজের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয় সবুজ।
পরে তার সহপাঠী সুজনের সহায়তায় ধারালো ছুরি নিয়ে ওই ছাত্রীর ওপর চড়াও হয়। এসময় কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করে পিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই ছাত্রকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করে। তাদের কাছ থেকে একটি সেভেন গিয়ারের ধারালো ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূরবী গোলদার প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই দুই ছাত্রকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বলে জানান প্রফেসর শাহিন খন্দকার।
ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে সাজাপ্রাপ্ত দুই ছাত্রকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।(জাগোনিউজ)
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৮:০০ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
এইউ