অগাস্টিনা হিগুয়েরা ২৯ বছর। স্বামীর নাম অ্যান্টোনিও। অগাস্টিনা হিগুয়েরা চৌদ্দ কন্যার মা হয়েছেন । তবে এখনই থামছেন না তিনি। ঘোষণা দিয়েছেন তার কোল জুড়ে যতদিন না একটি পুত্রসন্তান আসবে ততদিন সন্তান জন্ম দিয়ে যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের প্যারিস শহরের বাসিন্দা অগাস্টিনা ও অ্যান্টোনিওর বিয়ে হয় । প্রথম জনের ১৫, অন্যজন অন্যজনের বয়স ১৭।
টেক্সাসের আইন ১৪ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সম্মতিতে বিয়ের অনুমতি দেয়। এরই মধ্যে ‘সুপারমম’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। মাত্র দু’ মাস আগে তিনি জন্ম দিয়েছেন জমজ কন্যা। তারও আগে আরো দু’ দফা জমজ কন্যার জন্ম দেন এ মা।
এত সন্তান জন্ম দিতে পারায় তার আনন্দই হচ্ছে। শুধু একটাই কষ্ট ছেলে নেই। আর সে জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হিগুয়েরা।এতে একমত তার স্বামী অ্যান্টেনিও। হিগুয়েরা বলেন, আমরা দু’জনই খুব করে একটা ছেলে চাই। সুতরাং আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
মেয়েদের জন্য মন খারাপ তা’নয়। আর গর্ভবতী হতে আমার ভালোই লাগে। এতগুলো সন্তানের জন্ম দিলাম। কিন্তু কখনোই বড় কোনও সমস্যায় পড়িনি। এতে আমার কোনও ধকলও মনে হয়না।”
কতগুলো সন্তান হলে ক্ষান্ত হবো তার কোনও নির্দিষ্ট সীমা নেই। একটি ছেলে পেতে যদি আরও ১০টি মেয়েরও জন্ম দিতে হয়, দেবো, বলেন হিগুয়েরা।
দ্বিতীয়বার যখন জমজ কন্যা হেইলি ও ব্রেইলির জন্ম দেন তখন চিকিৎসক মজা করে বলেছিলেন, এর আরও জমজ সন্তান হবে। চিকিৎসকরে কথা রেখে হিগুয়েরা মাস দু’য়েক আগেই জন্ম দিলেন সবশেষ দু’ জমজ কন্যা বেলা ও ইসাবেলার।
কেবল যে সন্তান জন্ম দেয়াই কাজ তা’ নয়। এদের ভরণপোষণের দায়িত্বও মাকে নিতে হয়। প্রতিদিন ৮ বার খাবার রান্না করা, একটি মিনিবাসে চাপিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসা করতে হয়। ঘরকন্নার অন্যান্য কাজ করে রাতে দু’ঘণ্টার বেশি ঘুমুতেও পারেন না।
তার প্রথম কন্যা বেলিসিয়ার বয়স ১৫। সে সময় অগাস্টিনা হিগুয়েরা মোটে ১৪ বছরের। এরপর পরপর তিন বছর জন্ম নেয় নেলি ১৩, লিলিয়ানা ১২, ভ্যানেসা, ১১।
তিনি বলেন, সে সময় আমার কোনও কিছুই পরিকল্পনা মাফিক হতো না। প্রতিবারই যখন গর্ভবতী হতাম ভয় পেয়ে যেতাম। কিন্তু মেয়েগুলো যখন জন্ম নিতো আমার মনে হতো চাঁদের হাসি লেগে আছে। এখনতো এটা আমার চাঁদের হাট। (সম্পাদনায় : আবদুল গনি)
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৭:৫০ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৬, সোমবার
এইউ