বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর সহধর্মিণী বেগম সাজেদা মিজানের প্রথম মুত্যুবার্ষিকী শনিবার (১ অক্টোবর) ধর্মীয় কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে মরহুমার পরিবারের পক্ষ থেকে মেঝে ছেলে আমানুল্লাহ মিজান রাজু চৌধুরী দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
বাদ জোহর চাঁদপুরে শহরের বড় স্টেশন রেলওয়ে মাদ্রাসা, পুরাণবাজার জাফরাবাদ হাফিজিয়া এবং এমদাদিয়া এ তিনটি মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল ও খবার বিতরণ করা হয়েছে।
বাদ আসর পুরাণবাজার নিজ চৌধুরী বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া এবং বাদ এশা ময়নামতি রাইস মিলে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নুরুল হক বাচ্চু মিয়াজী, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক হায়দার চৌধুরী, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু।
মরহুমার পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মেঝো ছেলে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ মিজান রাজু চৌধুরী।
এতে উপস্থিত ছিলেন গিয়াস উদ্দিন মিলন চৌধুরী, চাঁদপুর চেম্বারের পরিচালক মাইনুল ইসলাম কিশোর, ধান ক্রাসার সমিতির সভাপতি মোহাব্বত হায়দার চৌধুরী, চাঁদপুর রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, সাবেক পৌর কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মজু বেপারী, আছলাম গাজি, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমেদ, অ্যাড. হাবিবুর রহমান লিটু, আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গু, যুবলীগ নেতা তাফাজ্জল ইসলাম তাফু, হারুন বেপারী। আরো উপস্থিত ছিলেন জুয়েল চৌধুরী, জাকির চৌধুরী, নকিবুল ইসলাম চৌধুরী, ফদিদুল ইসলাম দিদার, অ্যাড. দেবাসিষ কর মধু, রাসেদ চৌধুরী, শাহজাহান কবির খোকা, মাহাবুবুর রহমান মানিক, লিটন সাহাসহ আরো অনেকে।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পুরাণবাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি শাহাদাত হোসেন কাশেমী, শাহী মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা আব্দুল কাদের ও বাইতুল হাফিজ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোদাচ্ছের আলী।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির জনকের অত্যান্ত কাছের মানুষ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠকসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদমর্যাদায় ছিলেন। মানব সেবার সর্বোচ্চ সেবা হলো রাজনীতি। সেই রাজনীতি তিনি করে গেছেন। তিনি একজন সৎ এবং আদর্শবান রাজনীতিবিদ নেতা ছিলেন। মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর এই সাফল্যের পেছনে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন তার সহর্ধমীনী সাজেদা চৌধুরী। তিনি এজন সদালাপি ও সাদা মনের মানুষ ছিলেন। আজকে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।’
প্রসঙ্গত, মরহুমা সাজেদা মিজান চৌধুরী তিনি ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর দিবাগত ৩টা ২৫ মিনিটি ঢাকায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ৪ মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।