চাঁদপুর সদর উপজেলা হানারচর ইউনিয়নে হরিণা ফেরিঘাটে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
জানা যায় বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার সময় চট্টগ্রাম থেকে ফিরোজপুরের উদ্দেশ্যে একটি ট্রাক হরিণা ফেরিঘাটে আসে। যার নম্বর (আর এইস ডি চট্টমেট্টো-ঢ ৪১০২৭৮) মালবাহী ট্রাকটিকে সিরিয়াল ভঙ্গকরে আগের সিরিয়াল পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ট্রাক ড্রাইবার আশুতোষের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে।
একপর্যায়ে চাঁদাবাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হাবু ছৈয়ালের শ্যালক মো. খোরশেদ আলম গোলদার চালকেরর কাছ থেকে ২ হাজার ৭শ’ টাকা চাঁদা আদায় করে নেয়।
পরে সকালের দিকে মালবাহী ট্রাকটি যখন সিরিয়ালে থাকা অন্যান্য ট্রাক বাসকে পাস কাটিয়ে ফেরিতে উঠতে গেলে আরেক চাঁদাবাজ মো. জসিম ওই চালকের কাছ থেকে পুনরায় চাঁদা দাবি করে। তাতে চালক আশুতোষ চাঁদা দিয়েছে বলে জসিমকে জানায়। কিন্তু জসিম তা মানতে নারাজ হয় এবং পুনরায় চাঁদা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
এক পর্যায়ে জসিম চালকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাটি জানা জানি হয়। ফলে দু’গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থালে গেলে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই মালবাহী ট্রাকটিকে ফেরিতে উঠিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় চাঁদাবাজরা প্রতিটি মালবাহী ট্রাক থেকে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা এবং যাত্রীবাহী বাস থেকে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা জোড় করে আদায় করে। যদি টাকা না দেয় ওই সকল ট্রাক এবং বাস আটকে রেখে টাকা আদায় করে।
এছাড়াও অনেক চালককে লাঞ্ছিত হতে হয়। স্থানীয়রা ওই চাঁদাবাজেেদর ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। কেউ কিছু বলতে আসলে তাদের ধরে মারধর করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি সেখানে যেনো একটি পুলিশ কন্ট্রোলরুম বসানো হয়, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur