রংপুরে নিজ শিশুকে হত্যা করার দায়ে রাহেলা খাতুন (৩০) নামের এক নারীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত রাহেলা খাতুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ২০০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর পূর্বপাড়া গ্রামে রাহেলার বাড়ির পাশে পুকুর থেকে উদ্ধার করা এক বছর বয়সী শিশু লাকী খাতুনের লাশ। লাকীকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর রাহেলার স্বামী লাবলু মিয়া লাকীর মা রাহেলার বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে রাহেলার সঙ্গে লাবলু মিয়ার বিয়ে হয়। পরে ওই সংসারেই জন্ম নেয় লাকী খাতুন। ২০০৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে পারিবারিক বিরোধের জেরে নিজ মেয়ে লাকীকে গলাটিপে হত্যার পর তার মরদেহ বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ফেলে দেন মা রাহেলা খাতুন। পরের দিন সকালে বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয়রা লাকীর মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়ে দেন। দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এর রায় ঘোষণা করা হয়।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) ফারুক মো. রেয়াজুল করিম। আসামি পক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আফজালুল ইসলাম। এনটিভি)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:৩০ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ