‘হাত পাতলেই’ এখন যেনো মিলছে ইলিশ। ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে কপাল খুলেছে জেলেদের। তাই তাদের মুখে এখন চওড়া হাসি। এ হাসি ছড়িয়ে পড়েছে আরও একজনের মুখে। তিনি মোহাম্মদ সিরাজ।
ইলিশ ধরা কিংবা কেনাবেচার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত না থেকেও মৌসুমের এ সময়ে তার আয় হচ্ছে দিনে হাজার দশেক টাকার ওপর।এ ক্ষেত্রে তার মূলধন মাত্র একটি ডিজিটাল ‘বাটখারা’। সেই বাটখারাই গতি এনেছে সিরাজ মিয়ার জীবনে।
বুধবারের ভরদুপুর। চট্টগ্রাম নগরীর রানি রাসমণি ঘাটের বাজার। অদূরের বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়া ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে সেই বাজারে ঢুকছেন জেলেরা। এরপর চলছে ইলিশের নিলাম। চলছে কেনাবেচার তোড়জোড়। বাজারে বেশি পরিমাণের মাছ পরিমাপের একমাত্র সম্বল সিরাজের ওই ডিজিটাল বাটখারা।
বাটখারায় উঠছে একের পর এক তাজা ইলিশের খাঁচা। এতে যেনো একটুকুও দম ফেলার ফুসরত নেই মোহাম্মদ সিরাজের।
পরিমাপক যন্ত্রে ভেসে ওঠা ওজন দেখে সিরাজ ক্রেতা-বিক্রেতাদের বলে যাচ্ছেন ওজনের হিসেব। সেই ব্যস্ততার মধ্যেই বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বললেন বছর ৪০ এর মানুষটি।
মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম বলে, বাটখারা বন্ধ রাখার জো পাচ্ছি না। দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ খাঁচি ইলিশ মাছ মাপতে হচ্ছে।
দেখা যায়, এক মনের সমান ইলিশের খাঁচি হলে সেখান থেকে একটা ইলিশ মাছ সিরাজকে দিয়ে দিচ্ছেন জেলেরা। আবার ইলিশের পরিমাণ কম হলে সিরাজকে ১০ থেকে ২০ টাকা করে দিচ্ছেন জেলেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, এমনিতেই মাছের হিসেবে অনুসারে এক খাঁচি ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে নিই। তবে মাছের পরিমাণ বেশি হলে টাকার বদলে জেলেরা প্রতি খাঁচিতে একটি করে মাছ দেন।
সিরাজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার সাথে আরও কয়েকজন সহকারী হিসেবে আছেন। ইলিশের ভরা মৌসুমে তার প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। তবে বাজার খরচসহ অন্যান্যা খরচের পেছনে কয়েক হাজার টাকা চলে যায়। বাকি টাকাটা থাকে তার।
সারা বছরই এই ঘাটে মাছ মাপেন সিরাজ। তবে সবসময় এই ভালো হাল থাকে না। এখন ইলিশ মাছ বেশি ধরা পড়ছে বলে সিরাজের আয়ও বেড়েছে। (বাংলানিউজ)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:১০ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ