‘যারা চলে গেছে তারা একবারে মরে গেছে। আমরা যারা বেঁচে আছি তারা প্রতি মুহূর্তে মারা যাচ্ছি, একা না পরিবার নিয়ে!’ একথা বলছিলেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে অর্ধেক পা নিয়ে বিছানায় কাতরানো রাসেল।
টঙ্গীতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল প্যাকেজিং কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ শরীরের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের জন্য আরো বেশি কষ্টকর হয়ে উঠেছে!
আহত জামালের স্ত্রী মোমেনা বলছিলেন, সুস্থ হয়ে যখন বাড়ি ফিরবো তারপর তিনি (জামাল) আর কিছুই করতে পারবেন না, কিভাবে বাকিটা জীবন আমাদের কাটবে সেটা চিন্তা করতে পারি না। একদিকে সংসার অন্যদিকে তাকে দেখাশোনা করা। একজনই মানুষ ছিলো যিনি ৭ সদস্যের আমাদের সংসার চালাতেন।
এক পা দুই পা করে এগিয়ে আসছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ মোকসেদ। ছেলেকে তিলে তিলে মরণযন্ত্রণায় ভুগতে দেখা তার জন্য বড় বেশি বেদনার। অনেক কষ্টে কান্না চেপে কথা বলছিলেন তিনি।
অন্যদিকে আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসা সেবা নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই, প্রথম দিন থেকেই সঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।
তবে শরীরের দগ্ধতা শুকিয়ে গেলেও পরিবারের দগ্ধতা কোনোদিন শুকাবে কি না তা বলা যায় না।
গত ১০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো প্যাকেজিং কারখানার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানায় আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।( বাংলা নিউজ)
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ০৯:৫৭ পিএম,২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ শুক্রবার
এইউ