একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলী কৃতকর্মের দায় স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। এর ফলে এখন কারা কর্তৃপক্ষ যে কোনো সুবিধামতো সময়ে দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার জানান, ‘আজ দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষ মীর কাসেমকে প্রাণভিক্ষার আবেদনের ব্যাপারে পুনরায় জিজ্ঞাসা করে। তখন তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না বলে জানিয়েছেন।’
এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে কারা কর্তৃপক্ষ রায় বাস্তবায়নের পথে যাবেন। রায় বাস্তবায়নের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন আছে বলেও জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, মীর কাসেমের ফাঁসি কাশিমপুরে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এদিকে আজ সকাল থেকেই কারাগার এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। কারা ফটকের সামনে কাউকে অযথা দাঁড়াতে দিচ্ছেন না নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। কারাগার ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে কাশিমপুর কারাগারে যাওয়ার সড়কেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গত মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তাঁর পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
<em> নিউজ ডেস্ক : :আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:০০ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার</em>
<em>ডিএইচ</em>
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur