Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / সাথীর বাড়িতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার : অভিযুক্তরা পলাতক
সাথীর বাড়িতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার :অভিযুক্তরা পলাতক

সাথীর বাড়িতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার : অভিযুক্তরা পলাতক

চাঁদপুর সদরের বাগাদী গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর শাস্তির অপমান সইতে না পেরে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আত্মহত্যা করার পর থেকে অভিযুক্ত ফাতেমা বেগমসহ শিক্ষক দেলোয়ার, শংকর ও জাহাঙ্গীর আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা গেছে।

সাথীর বাবা দেলোয়ার হোসেন দেলু শেখ বাদী হয় মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন । শেষ খবরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাম সহকারী শিক্ষক আলাউদ্দিন মজুমদারকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। ঘটনার পর দিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় স্কুল পরীক্ষা থাকলেও অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।

স্কুলছাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছেছেন চাঁদুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা উদয়ন দেওয়ান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি বিএম হান্নান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালি উল্যাহ অলি, বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লালসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক মাহাবুব আলম জানান, বাগাদী গণি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন, সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন ও অফিস সহকারী কাম সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা বেগমকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে

পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, ‘আমি ও ডিসি সাহেবসহ (মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট) সকালে বিদ্যালয় ও সাথী আক্তারের বাড়িতে যাই। সাথীর পরিবারকে সান্তনা দিয়ে আসি। সাথী তার মার কাছ থেকে ৩শ’ টাকা টিউশন ফি চায়। তার মা তাকে ২ শ’ টাকা দিয়ে অন্য বাড়ি থেকে ১শ’ টাকা ধার করতে যায়। এরই ফাঁকে মেয়েটি ঘরে মধ্যে আত্মহত্যা করে। কারণ আগের দিন তার স্কুল শিক্ষক টিউশন ফি ’র পুরো টাকা না আনায় তাকে ভীষণভাবে অপমান করে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে এবং তদন্ত কাজ চলমান। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।’

ওই শিক্ষার্থীর বাবা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘ আমার ৩ মেয়ে রয়েছে। আমি দিন মজুর হয়েও মেয়েকে স্কুলে পাঠাইয়েছি। সাথী আমার ছোট মাইয়া বড় আদরের। স্কুলের পরীক্ষার ফি’র জন্য সাথী আমার কাছে টাকা চায়। আমি পুরা টাকা দিতে পারি নাই। স্কুলের ফাতেমা মেডাম সাথীকে ক্লাশ থেকে বের হতে বলে। এ বলে তারে মাথায় চারা দিয়া ক্লাশের বাইরে দাঁড় করাই রাহে ও বিভিন্ন ভাষায় বকাবকি করে। ২০ টাকা কম দেয়ায় মেডাম তারে অপমান করে।”

এলাকার ক ’জন জানান, ‘সাথীদের পরিবার তাদের নানার বাড়িতে থাকে। স্কুলের অনেক শিক্ষকই ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় পরীক্ষার ফি ও টিউশনের টাকার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও অপমান করে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় অফিস সহকারীর নির্যাতনে অপমান সইতে না পেরে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার শিকার সাথী আক্তারের পিতা হতদরিদ্র দেলোয়ার হোসেন তালুকদার চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে একটি তেলের আড়তে শ্রমিকের কাজ করে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:৫০ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Leave a Reply