ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউয়ের রায়ের কপি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে আইন গবেষণা কর্মকর্তা ফাহিম ফয়সালসহ চারজন রায়ের কপি নিয়ে কারাগারে রওনা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার(৩০ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। পরে বিকেলে পাঁচ বিচারপতির স্বাক্ষরিত ২৯ পৃষ্ঠার রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
রায় প্রকাশের পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালে রায়ের কপি পৌঁছে দেন। এখন ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে যাচ্ছে রায়ের কপি।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের কপি আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আপিল বিভাগ মীর কাসেমের আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়ায় পূর্বের রায় (মৃত্যুদণ্ড) বহাল রয়েছে। ফলে আজ সেই রায়ের অবহিতকরণ পাঠানো হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চের অন্য বিচারকরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
৬৩ বছর বয়সী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় এখন তার সামনে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতদের মধ্যে এর আগে রিভিউ খারিজ হয়েছিল আব্দুল কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মতিউর রহমান নিজামীর। রিভিউ খারিজের পর তাদের সবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৮:৩০ পিএম,৩০ আগস্ট ২০১৬ মোঙ্গলবার
এইউ