পেঁয়াজ স্বাস্থ্যকর সবজির একটি। রোগ সারাতে এর গুণ মেলা ভার। সুস্বাদু তরকারি পেতে পেঁয়াজের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু উপকারী সবজিটি কাটতে চান না অনেকে।
পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখ জ্বলা কিংবা চোখে পানি এসে যাওয়া এর প্রধান কারণ। এ অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজে অ্যামাইনো এসিড সালফক্সাইড নামে এনজাইম থাকে। এটা থেকেই পেঁয়াজের কোষে তৈরি হয় সালফেনিক এসিড।
এ দুটি উপাদান পেঁয়াজের ভেতর আলাদা কোষে থাকলেও কাটার সময় তাদের সংমিশ্রণ ঘটে। ফলে তৈরি হয় প্রেপানেথিওল এস-অক্সাইড নামে এক উদ্বায়ী সালফার যৌগ।
এ যৌগ চোখের পানির সংস্পর্শে তৈরি করে সালফিউরিক এসিড। এ এসিডই চোখ জ্বলা ও অশ্রুগ্রন্থি দিয়ে পানি ঝরানোর জন্য দায়ী। তবে রান্নাঘরে কান্নার দিন শেষ হতে চলেছে! জাপানি কোম্পানি হাউস ফুড গ্রুপ এমন একটি পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে, যেটা চোখে জ্বালা করবে না, কোনো পানিও আনবে না।
পেঁয়াজটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মাইল বল’। নামটা এভাবে দেওয়া হয়েছে যে, এটি কান্নার বদলে মানুষকে হাসিতে ভাসাবে।
কয়েক দশক ধরে গবেষণার পর নতুন ধরনের এ পেঁয়াজ শিগগিরই বাজারে পাওয়া যাবে। ২০০২ সালে হাউস ফুড গ্রুপের গবেষকরা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।
এতে তারা বলেন, পেঁয়াজে চোখে পানি আনা এনজাইমের প্রভাব একেবারে কমিয়ে আনা সম্ভব। এটা করলেও পেঁয়াজের গুণাগুণ, পুষ্টির মাত্রা ও মানের কোনো কমতি হবে না। বিশেষ এ গবেষণার জন্য আশ্চর্যজনক আবিষ্কারের ভিত্তিতে দেওয়া ইগ নোবেলও পেয়েছেন কোম্পানিটির গবেষকরা।
কিন্তু গত বছর কোম্পানিটি তাদের তত্ত্ব অবশেষে বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে বলে ঘোষণা দেয়। যদিও ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিল, বাণিজ্যিকভাবে ঝাঁজবিহীন পেঁয়াজ উৎপাদনের কোনো ইচ্ছা এখনই তাদের নেই। কিন্তু এ মৌসুমেই জাপানি স্টোরগুলোতে আশ্চর্যজনক এ সবজিটির দেখা মিলবে।
ওই কোম্পানি জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বছর টোকিওর ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও অনলাইন দোকানগুলোতে পাঁচ টনের মতো ‘স্মাইল বল’ পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে।
কিন্তু আগামী মৌসুমে দেশের সব সুপার মার্কেটে পর্যাপ্তভাবে সরবরাহ করা হবে এ পেঁয়াজ। তবে এর জন্য সাধারণ পেঁয়াজের চেয়ে দ্বিগুণ দাম গুনতে হবে ক্রেতাদের। (সূত্র :অডিটি সেন্ট্রাল ও গার্ডিয়ান)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫০ এএম, ১২ আগস্ট ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur