চাঁদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরে জব্দকৃত ৬ টন পলিথিন স্তুপ আকারে পড়ে রয়েছে । পরিবেশ অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক বিভিন্ন সময় নৌ-পথের জলযান ও হাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জব্দ করা ওই পলিথিন এখন স্তুুপ আকারে পড়ে আছে।
২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের জুন হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর প্রায় ৭ টন চট্টগ্রামে বিভাগীয় নির্দেশে প্রেরণ করা হয়েছে । জানুয়ারি হতে জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত ওই পরিমাণ পলিথিন আবার জব্দ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশে উৎপন্ন খাদ্য ও পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন কলকারখানায় উৎপাদিত পণ্য কিংবা খাদ্য প্যাকেজজাত করার জন্যে পলিথিনের প্রয়োজন । সে জন্য পলিথিন উৎপাদনকারী মিল বা কারখানা একেবারেই বন্ধ করা সম্ভব নয় ।
কিন্তু কোনো কোনো অসাধু মিল মালিক ব্যবসায়িক চিন্তা ভাবনায় দ্রুত কাটতি হয় এমন পলিথিন উৎপাদন করে বাজারজাত করে থাকেন। যা অবৈধ।
চাঁদপুরে দু’টো পলিথিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর একটি পুরাণবাজারে অপরটি হাজীগঞ্জে। এ দু’টো পলিথিন ফ্যাক্টোরিও মনিটরিং করা হয় বলে জানা যায়।
চাঁদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.আরেফিন বাদল এক প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘প্যাকেজিং এর জন্য যে সকল মিল বৈধ অনুমতি নিয়ে .৫৫ মাইক্রোন এর ওপরে পুরুত্ব বিশিষ্ট পলিথিন উৎপাদন করে থাকেন সেগুলোই বৈধ।’
জব্দকৃত পলিথিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে যেসব পলিথিন জব্দ করা হয় তা অবশ্যই অবৈধ। প্রশ্ন হচ্ছে – কোনগুলো বৈধ আর কোনগুলো অবৈধ তা’ সাধারণ মানুষের বুঝার উপায় নেই । সে জন্য প্রয়োজন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, সংশোধিত ২০১০ এর পরিবেশ ধারা ১২ ও ১৩ ধারা অনুযায়ী পরিবেশ ছাড়পত্র ব্যতীত বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন দেয়া যায় না। চাঁদপুরে অনেক ছোট-বড় কলকারখানা রয়েছে যেলো পরিবেশ ছাড়পত্র ব্যতীতই চলছে । পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে অনেক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে ।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২:০০ এএম, ৩১ জুলাই ২০১৬, রোববার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur