এবার পুলিশই রক্ষক হযে ভক্ষক সেজেঁ নিজ স্ত্রী জাকিয়া সুলতানাকে যৌতকের জন্য মারপিট করে চুল কেটে দিয়েছে এক পুলিশ সদস্য। মারাত্মক জখম অবস্থায় গৃহবধূকে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিতা জাকিয়া সুলতানা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল হাই সরকারের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম আসাদ আলম। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রতিবেশীরা জানায়, ৭ বছর আগে জাকিয়ার বিয়ে হয় পুলিশ সদস্য আসাদ আলমের সঙ্গে। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম জেলায় কর্মরত আছেন। বিয়ের কিছুদিন পর্যন্ত সংসার চলে। এরপর আলম তার স্ত্রী জাকিয়াকে যৌতুকের ৩ লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে যৌতুকের টাকার জন্য বাপের বাড়িতে চলে আসতে হয়। কিন্তু অক্ষম বাবা তার ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি মেটাতে পারেনি। ফলে দীর্ঘদিন তাকে বাবার বাড়িতে পড়ে থাকতে হয়। গত রোববার জাকিয়ার স্বামী ছুটিতে তার বাড়িতে আসে। তারপর তার মাকে পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।
তারপর কৌশলে তাকে আবারও ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়া হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামী, শাশুড়ি মিলে তাকে মারপিট করে মাথার চুল কেটে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মারপিটের কারণে জাকিয়া অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাতে তাকে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, নির্যাতিত গৃহবধূর মা জুলেখা বেগম মামলা করার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থানায় যান। কিন্তু মামলা গ্রহণ না করে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তাকে জানানো হয় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা থানায় হবে না। এরপর তাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন জুলেখা বেগম।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, জাকিয়া সুলতানার সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়েছে অনেকদিন আগে। সুতরাং তাকে সে স্বামী হিসাবে দাবি করতে পারে না বলে মামলা নেয়া হয়নি।
নিউজ ডেস্ক: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:৫০ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ