এবারের ঈদেও ফরিদগঞ্জে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাসিন্দাদের ভাঙ্গা রাস্তায় দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভোগান্তির মাত্রাটা আরো বেশি হচ্ছে জানিয়েছেন নাড়ির টানে ঈদ করতে আসা ওই অঞ্চের বাসিন্দাদের।
চাঁদপুর থেকে ওয়াপদা দিয়ে চাঁন্দ্রা, গাজীপুর থেকে কড়ৈতলী রাস্তা কিছুটা ভালো হলেও, চান্দ্রা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা।
কড়ৈতলী বাজারের শেষ মাথা থেকে শুরু করে পাইকপাড়া, আষ্টার মানুষকে কঠিন ভোগান্তিত পড়তে হচ্ছে। এছাড়া গাজীপুর থেকে ফরিদগঞ্জ রুটের একমাত্র রাস্তাটিরও করুণ পরিস্থিতি। যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হাঁটাও কষ্টকর।
রাস্তাগুলো এতটাই জরাজীর্ণ যে প্রতি মুহূর্তেই দুর্ঘটনার আতংকে সিএনজি, অটোবাইকে চলাচল করছেন যাত্রীরা। রাস্তা গর্তগুলো অনেক বেশি উঁচু-নিচু হওয়ায় গাড়িগুলো চলতে রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে যাওয়ার উপক্রম।
এদিকে টানা ক’দিনের ঝির ঝির বৃষ্টিতে ভোগান্তির মাত্রাটা বাড়িয়ে দিয়েছে। বেশিরভাগ যাত্রী খুব হতাশা নিয়ে বললেন এ রাস্তাগুলো দিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না। কষ্ট তো হয়েই, বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। অনেক বাড়তি ভাড়া দেয়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চালকরা যেতে চান না।
যাত্রীদের বক্তব্য হলো, ‘ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসতে লঞ্চে অনেকটা আরাম করে আসা যায়, বাড়ির কাছে এসেই এ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
রাস্তা ভাঙ্গা, ঈদ বখশিস ইত্যাদির অযুহাতে অসাধু সি,এন,জি চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদয় করছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে। এ যেনো মরার ওপর খাড়ার গা।
আষ্টা গ্রামের এক বৃদ্ধা জানান, ‘আমা গো খবর রাহে কে? একটু বৃষ্টি অইলেই রাস্তা খারাপ অই যায়। গর্তগুলা দেহেন বাপু মাছ হালাইতে (চাষ) হারবেন।’
এই পথ ধরে প্রতিদিন যাতায়াত করেন ডাঃ প্রদীপ।তার শশুর বাড়ি চান্দ্রা গ্রামে। আষ্টায় তার ওষুদের দোকান। তিনি বলেন শুনেছি কিছুদিনের মধ্যে ই রাস্তার সংস্কার শুরু হবে। আমরাও বিশ্বাস করি কিছু দিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু হওয়া জরুরি।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম