Home / বিশেষ সংবাদ / মিতু হত্যায় জড়িত দুজন ক্রসফায়ারে নিহত
মিতু হত্যায় জড়িত দুজন ক্রসফায়ারে নিহত

মিতু হত্যায় জড়িত দুজন ক্রসফায়ারে নিহত

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতু আক্তার হত্যার মিশনে অংশ নেয়া দুজন ‘ক্রসফয়ারে’ নিহত হয়েছে। এরা হল নবী ওরফে নূরুন্নবী এবং মো. নূরুল ইসলাম রাশেদ ওরফে ভাগিনা রাশেদ।

তাদের ধরতে গিয়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন উপ-পরিদর্শক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (দক্ষিণ) মো.কামরুজ্জামান।

মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার রাণীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (দক্ষিণ) মো.কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া মুছা, রাশেদ, নবীসহ কয়েকজন রাণীরহাট এলাকায় অবস্থান করছিল। গোপন সূত্রে এই সংবাদ পেয়ে আমরা অভিযানে যায়।

‘আমরা যখন তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলি তখন তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। আমরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়তে থাকি। এক পর্যায়ে তারা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ’

বন্দুকযুদ্ধে আহত নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আজহার, ইমাম ও সিকান্দারকে নগরীর দামপাড়ায় পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কামরুজ্জামান।

এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, একটি এলজি, ২টি কিরিচ ও পাঁচ রাউণ্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি হুমায়ন কবির।

‘ক্রসফায়ারে’ নিহত নবী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সোনারগাঁও নতুন পাড়ার বাসিন্দা মুন্সী মিয়ার ছেলে। রাশেদ একই উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সোনামিয়ার ছেলে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং রাশেদের পরিবারের দাবি অনুযায়ী, তাদের পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছে। এমনকি তাদের ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বাবুল আক্তারের মুখোমুখিও করা হয়েছিল।

তবে পুলিশ বরাবরই গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল।

মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার ২৬ জুন আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনের নাম প্রকাশ করেছিল। সাতজনের মধ্যে রাশেদ এবং নূরনবীর নামও ছিল।

গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ‍মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সিএমপির গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আইজির নির্দেশে ঘটনা তদন্তে পাঁচটি সমন্বিত টিমও গঠন করা হয়।

২৪ জুন রাতে বাবুল আক্তারকে রাজধানীতে তার শ্বশুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে টানা ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মামলার বাদিকে আসামির মতো তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে দেশজুড়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে ইঙ্গিত করে খবর প্রকাশ হয়েছে। (বাংলানিউজ)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:০০ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply