পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাহিনীতে আছেন কি না- এই প্রশ্ন অন্যদের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও এড়িয়ে গেলেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকরা তাকে এ প্রশ্ন করেন।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওটা বাহিনীর বিষয়। আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি- বাবুল আক্তার কোনো ধরনের নজরদারিতে নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্ত্রী হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করা বা জড়িত থাকার কোনও প্রসঙ্গ এখনও সরকারের কাছে আসেনি। এলে আপনাদের জানানো হবে।’
এদিকে সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বাবুল আক্তারের বাহিনীতে না ফেরার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ সদর দপ্তরের বিষয়। বাবুল বাহিনীতে ফিরবে কি না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছানও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বাবুল বাড়িতেই আছে। বাচ্চাদের সময় দিচ্ছে। তাদের খাওয়ানো থেকে শুরু করে সব কাজই করছে সে।’
উল্লেখ্য, ৫ জুন চট্টগ্রামে খুন হন স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এর আগের দিনই পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দেন তিনি।
এর পর থেকে ঢাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকছেন বাবুল আক্তার। গত শুক্রবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। ১৫ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেলে তাকে শ্বশুরের বাসায়ই পৌঁছে দেয়া হয়। বাসায় ফিরেই তিনি গোসল করে দরজা বন্ধে করেন। পরদিন বিকেলের আগে আর দরজা খোলেননি। তিনি মানসিকভাবে ‘আপসেট’ আছেন বলেও জানিয়েছিল পরিবারের লোকেরা।
স্ত্রী খুনের আগের দিনই হেডকোয়ার্টারে যোগ দেন বাবুল। ৫ তারিখের ঘটনার পর শুধু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে এলেও ডিবি কার্যালয় থেকে ফেরার পর তিনি আর অফিসে যাচ্ছেন না।(বাংলামেইল)
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur